ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন অবাস্তব

ইউক্রেনের জন্য আরও একটি হতাশার খবর এসেছে ব্রাসেলস থেকে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আশা বাস্তবে পূরণ হওয়ার মতো নয়। বৃহস্পতিবার ন্যাটো সম্মেলনে হেগসেথ বলেন, আমরাও চাই ইউক্রেন একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী দেশ হিসেবে টিকে থাকুক। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা স্বীকার করতে হবে ২০১৪ সালের আগের সীমানায় ফেরা সম্ভব নয়। খবর আলজাজিরার।
তিনি বলেন, এই অবাস্তব লক্ষ্য তাড়া করলে যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। স্থায়ী শান্তির জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে হেগসেথ বলেন, ভবিষ্যতে যাতে নতুন করে যুদ্ধ না বাঁধে সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে না। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমার মনে হয় না এটা বাস্তবে সম্ভব। অথচ ২০২২ সালে যখন রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়েছিল তখন বাইডেন প্রশাসন ও ন্যাটোর অন্য নেতারা বলেছিলেন, ইউক্রেনের পশ্চিমা সামরিক জোটে যোগদান অনিবার্য। এদিকে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন শর্তসাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ, তেল ও গ্যাসের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অধিকারের নিশ্চয়তা চান তিনি। এই লক্ষ্যে দেশটির ট্রেজারি সেক্রেটারি লিখিত নিশ্চয়তা চেয়েছেন। ২০১৪ সালে ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো সামরিক অভিযান চালায় রাশিয়া। সে সময় ক্রিমিয়াসহ কিছু অঞ্চল মস্কোর দখলে চলে যায়। হেগসেথের বক্তব্য অনুযায়ী, রাশিয়ার কব্জায় যাওয়া ভূখণ্ডের কোনো অংশ ফিরে পেতেই ইউক্রেনকে সহায়তা করার বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের তেমন আগ্রহ নেই।