
ছবি সংগৃহীত
আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করা শিশুদের নাগরিকত্ব প্রদানের দীর্ঘদিনের নীতি বদলাতে চাইছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তার ফলে হাজার হাজার ভারতীয় পরিবার গভীর অনিশ্চয়তায় পড়তে পারেন। মূলত, যেসব ভারতীয় দম্পতি কর্মসূত্রে আমেরিকায় বসবাস করছেন এবং সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের জন্য এই নতুন আইন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বর্তমানে আমেরিকায় জন্ম নিলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব মেলে। কিন্তু ট্রাম্প আগে বলেছিলেন, হোয়াইট হাউসে ঢোকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি এই নিয়ম পরিবর্তন করবেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি গত ২১ জানুয়ারি একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। তবে, বিষয়টি এখনো আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকায় তা কার্যকর হয়নি।
ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার অক্ষয় পাইস ও তাঁর স্ত্রী নেহা এই পরিস্থিতিতে ভীষণ উদ্বিগ্ন। নেহা সন্তানসম্ভবা, আর ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকেই তাঁরা ভাবনায় পড়ে গেছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় বলেন, "এটি আমাদের সরাসরি প্রভাবিত করবে। যদি নতুন নিয়ম কার্যকর হয়, আমরা কী করব, বুঝতে পারছি না। আমরা শুধু চাই, আমাদের সন্তান সুস্থভাবে জন্ম নিক। তারপরই ভাবতে হবে নাগরিকত্বের বিষয়টি।"
শুধু অক্ষয়-নেহা দম্পতিই নন, অনেক ভারতীয় দম্পতি এখন নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার আগেই সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা ভাবছেন। ফলে, গর্ভবতী মহিলারা সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের দিকে ঝুঁকছেন যাতে তাঁরা নাগরিকত্ব সুবিধা নিশ্চিত করতে পারেন।
বর্তমানে আমেরিকায় বসবাসকারী দ্বিতীয় বৃহত্তম অভিবাসী গোষ্ঠী ভারতীয়রা। পাঁচ লাখেরও বেশি ভারতীয় নাগরিক এইচ-১বি ও অন্যান্য অনভিবাসী ভিসায় আমেরিকায় থাকেন। এখন পর্যন্ত তাঁদের সন্তানরা জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পেয়ে থাকেন, যা তাঁদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করে। কিন্তু ট্রাম্পের নতুন নিয়ম কার্যকর হলে, অনভিবাসী ভিসাধারীদের সন্তানদের আর আমেরিকার নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। এতে ভবিষ্যতে অভিবাসন ও গ্রিন কার্ড পাওয়ার পথও কঠিন হয়ে যাবে।
সূত্র: আনন্দবাজার
আশিক