![ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের চাপে আদালতের রায় উপেক্ষা, মসজিদ গুড়িয়ে দিল প্রশাসন ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের চাপে আদালতের রায় উপেক্ষা, মসজিদ গুড়িয়ে দিল প্রশাসন](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/3-2502091849.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
ভারতের উত্তর প্রদেশের কুশিনগর জেলায় আদালতের স্থগিতাদেশ শেষ হওয়ার পরপরই একটি মসজিদ গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রাদেশিক প্রশাসনের নির্দেশে এটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো অভিযোগ তুলেছিল যে কুশিনগরের কাটা এলাকার মাদানি মসজিদটি সরকারি জমিতে নির্মিত। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তারা উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে অনলাইন পোর্টালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। এর পর প্রশাসন মসজিদটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে আদালতে মামলা হলে এর উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।
আদালত উভয় পক্ষকে জমির মালিকানার মূল নথিপত্র ও নকশা দাখিলের নির্দেশ দেয় এবং এ বিষয়ে একটি সরকারি জরিপ পরিচালিত হয়। তদন্তে দাবি করা হয় যে, মসজিদের কিছু অংশ সরকারি জমির উপর অবস্থিত। তবে সরকারি জমির সুনির্দিষ্ট চিহ্নিতকরণে কর্মকর্তারা ব্যর্থ হন।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মসজিদ ভাঙার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না প্রশাসন। একইসঙ্গে, মসজিদ কর্তৃপক্ষকে জমির মূল নথিপত্র দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হলে আদালতের নতুন নির্দেশনা না আসার আগেই মসজিদটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাদেশিক প্রশাসন।
শনিবার রাতেই প্রশাসনের বিশাল যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হয় এবং ৬টি বুলডোজার দিয়ে মসজিদটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের মতে, মাদানি মসজিদ কুশিনগরের মুসলিমদের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলো। এটি শুধু নামাজ আদায়ের স্থান ছিল না, বরং নিম্নবর্ণের ও পিছিয়ে পড়া হিন্দুদের সহায়তা ও শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। পাশাপাশি, এটি কুশিনগরের তাবলীগ জেলা মারকাজ হিসেবেও পরিচিত ছিল।
মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা এই ঘটনার ন্যায়বিচার ও ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।
সূত্র: মুসলিম মিরর
মো. মহিউদ্দিন