![ফের হামাস-ইসরাইল বন্দি বিনিময় ফের হামাস-ইসরাইল বন্দি বিনিময়](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/6-2502081412.jpg)
গাজায় যুদ্ধবিরতির পঞ্চমবারের মতো ইসরাইলের হাতে আটক ১৮৩ জন বন্দির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস শনিবার তিন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা উপত্যকা থেকে বাসিন্দাদের বিতাড়িত করার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলের প্রস্তাব নিয়ে এই অঞ্চলে তীব্র বিক্ষোভ সত্ত্বেও এই বিনিময় ঘটল। এদিকে ইসরাইলের কাছে আরও সাত দশমিক চার বিলিয়ন ডলারের বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যা এরই মধ্যে দেশটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গাজাযুদ্ধে শুরু থেকেই মার্কিন অস্ত্র ও বোমা ব্যবহার করছে ইসরাইল। খবর আলজাজিরার।
এদিকে ইসরাইলের সাবেক এক প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা দখল করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, এই পরিকল্পনা বা প্রস্তাব অবাস্তব, কারণ গাজা ইসরাইলের হাতে দেওয়ার মতো কিছু নয়। এহুদ ওলমার্ট বিবিসির ওয়ার্ল্ড নিউজ আমেরিকা অনুষ্ঠানে বলেন, গাজা পুনর্গঠনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাকে স্বাগত জানাবেন, তবে শর্ত একটাই গাজা অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের মাধ্যমে এবং ফিলিস্তিনিদের জন্যই পুনর্নির্মাণ করতে হবে। তিনি বলেন, আমেরিকা আশা করছে যে ইসরাইল গাজা তাদের হাতে তুলে দেবে। কিন্তু আমরা তা করতে পারি না, কারণ গাজা আমাদের নয়। গাজা ফিলিস্তিনিদের। ওলমার্ট বর্তমান ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির সদস্য ছিলেন ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। তবে ২০০৬ সালে তিনি ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন দল থেকে বেরিয়ে আসেন। শনিবার মুক্তি পেতে যাওয়া তিন ইসরাইলি পুরুষ জিম্মির নাম প্রকাশ করেছে হামাস। এই তালিকায় রয়েছে এলি শারাবি, ওর লেভি এবং ওহাদ বেন আমি নামের তিন ইসরাইলি জিম্মি। গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর এরই মধ্যে ১৮ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে ৩৮৩ ফিলিস্তিনি। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর মধ্যে আটজন মারা গেছেন বলে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে প্রায় ১৯০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল। শনিবার হামাস দাবি করে, গাজায় মানবিক সহায়তা আটকে চুক্তি লঙ্ঘন করছে ইসরাইল। এর সঙ্গে ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনাও এই চুক্তির ভিতকে দুর্বল করে দিয়েছে। হামাসের প্রশ্ন, গাজার ভাগ্য যদি পশ্চিমারা এরমধ্যেই নির্ধারণ করে ফেলে থাকে, তবে এই চুক্তি মেনে এগিয়ে যাওয়ায় হামাসের কোনো স্বার্থ নেই। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সাংবাদিকদের বলেছেন, গাজা বর্তমানে বসবাসের অযোগ্য একটি স্থানে পরিণত হয়েছে। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে গোলাবারুদ, ধ্বংস হয়ে গেছে বাড়িঘর। এ অবস্থায় বাসিন্দাদের অন্য কোথাও সরে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত বলে দাবি করেন তিনি। এই পরিকল্পনা প্রকাশের একদিন পরেই ফিলিস্তিনিদের স্বেচ্ছা প্রস্থানের জন্য ইসরাইলি সেনাদের প্রস্তুত থাকতে বলে তেলআবিব।