
ছবিঃ সংগৃহীত
দক্ষিণ এশিয়ার জটিল ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক কেন্দ্রীয় হলেও, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশও এই চলমান কৌশলগত দাবার খেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশগুলো যখন তাদের মিত্রতা এবং অবস্থান পরিবর্তন করছে, তখন তাদের পদক্ষেপগুলো এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তার করার জন্য সূক্ষ্ম এবং গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত তোলপাড় সৃষ্টি করছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতায় আসার পর পাকিস্তানের সাথে তাদের সম্পর্কের দূরত্ব বেড়েছে, যার ফলে সীমান্তে উত্তেজনা এবং বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতি ভারতের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করেছে। ভারত আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্ক গড়তে আরও এগিয়ে এসেছে। সম্প্রতি ভারতের এবং আফগানিস্তানের মধ্যে উচ্চস্তরের কূটনৈতিক বৈঠকগুলো ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে, এবং ভারত দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য চাবাহার বন্দর ব্যবহার করতে শুরু করেছে, যা পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ গদর বন্দরের কাছেই অবস্থিত।
এদিকে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তনের কারণে পাকিস্তানও দেশটির দিকে মনোযোগ দিয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে, পাকিস্তান সরকারের কাছে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য প্রধান শর্ত ছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত গণহত্যার দায় স্বীকার এবং ক্ষমা প্রার্থনা। কিন্তু এসব শর্ত পূরণ না করেও পাকিস্তানি বাণিজ্য জাহাজগুলো প্রায়ই চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করছে, যা দুই দেশের সম্পর্কের একটি নতুন দিক উন্মোচন করছে।
এভাবে, এই অঞ্চলের দেশগুলো তাদের পররাষ্ট্রনীতি পুনর্গঠন করছে এবং একে অপরের সাথে নিজেদের কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্পর্ক নতুন করে সাজাচ্ছে। এই পরিবর্তনগুলো দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি এবং ভবিষ্যতের ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে।
মারিয়া