ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

গাজায় ফিরে খাবার-পানি-আশ্রয় সংকটে ফিলিস্তিনিরা

প্রকাশিত: ২১:১৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গাজায় ফিরে খাবার-পানি-আশ্রয় সংকটে ফিলিস্তিনিরা

খাবারের জন্য দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে গাজার বাসিন্দাদের

যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ফিরে তীব্র খাদ্যের সংকটের মুখে পড়েছেন ফিলিস্তিনিরা। এক মুঠো রুটির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। উত্তরাঞ্চলে পর্যাপ্ত আবাসন, পরিষ্কার পানি, খাদ্যের সংকটে দিন পার করছেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। খবর আলজাজিরার।
যুদ্ধবিরতির পর নিজ বাস ভূমিতে ফিরে এসেও যেন কমেনি গাজাবাসীর দুঃখ, দুর্দশা। বাড়িঘর হারিয়ে আবাসন শূন্য অবস্থায় রয়েছেন শত শত বাসিন্দা। এছাড়াও দেখা দিয়েছে পরিষ্কার পানি ও মজুত খাদ্যের সংকট। অল্প কিছু রুটি পাবার আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। স্থানীয় সময় বুধবার এমন চিত্রের দেখা মিলল গাজার উত্তরাঞ্চলে। পরিবারের জন্য খাবারের জোগান দিতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানান ফিলিস্তিনিরা। বসবাসের জায়গা পেতে তাবু টানানোর ক্ষেত্রেও সমস্যার সম্মুখীন অনেকে। গাজার উত্তরাঞ্চল পুরো খালি হয়ে গেছে বলে জানান বাসিন্দারা। পুরো উত্তরাঞ্চলে একটি বেকারি খোলা থাকায় প্রয়োজনের তুলনায় খাবার পাচ্ছেন না ফিরে আসা ফিলিস্তিনিরা। একটি রুটির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এ অবস্থায় গাজায় গম, আটার মতো নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার সামগ্রী পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাসিন্দারা। অনেকে থাকার জায়গা না পেয়ে আশ্রয় নিচ্ছে কবরের পাশে। এ অবস্থায় গাজা পুনর্বাসনের কোনো পদক্ষেপ এখনো চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ফিলিস্তিনিরা। গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, হাসপাতালে এবং হাসপাতালের কাছাকাছি ভয়াবহ ইসরাইলি হামলার প্যাটার্নের ফলে গাজার বেশিরভাগ হাসপাতাল ধ্বংস হয়ে গেছে। যার ফলে অনেক হাসপাতালের আশপাশে যুদ্ধ চলেছে এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস হামলা চালিয়ে গেছে। এ ছাড়া ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

×