ছবি: সংগৃহীত
গাজাকে একটি পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার বিষয় এবং এর সাথে ১ কোটি ৮০ লাখ ফিলিস্তিনিকে দেশছাড়া করার চক্রান্ত চলছে। বর্তমানে, গাজার পরিস্থিতি এবং এর রাজনৈতিক অবস্থা খুবই জটিল। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে চলা সংঘর্ষের কারণে গাজার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। ইসরায়েলের সাথে চলমান সামরিক সংঘাত এবং যুদ্ধের কারণে গাজা অঞ্চলের মানুষ বহু বছর ধরে মানবিক সংকটের মুখোমুখি। এর মধ্যে, ইসরায়েলের একাধিক পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক চাপও রয়েছে, যা গাজার পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে।
খ্যাপাটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমে গাঁজা নিয়ে ভালো ভালো কথা বললেও এখন তার কন্ঠ বদলাচ্ছেন। বলছেন, জর্ডান এবং মিশরের উচিত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করা। আমি বিশ্বাস করি তারা মানাও করবে না। আমি বিশ্বাস করি অন্যান্য আরব দেশগুলো ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করবে এবং আমার বিশ্বাস তারা একবার বাহিরে গেলে আর কখনোই ফিলিস্তিনে ফিরে আসতে চাইবে না। তারা কেন ফিরবে গাজা এরই মধ্যে নরকে পরিণত হয়েছে।
একই সাথে তিনি ধনী রাষ্ট্রগুলোর সাথে মিলে গাজা কে একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করার কথা বলেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানেয়াহু সাথে এমন বৈঠক করে সেটা খোলাখুলি বলে দিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। মূলত গাঁজার বন্ধু সেজে ট্রাম্প পুরো ফিলিস্তিনকে একদম ধ্বংস করে দিতে চান।
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সমীকরণে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যেমন, ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেওয়া। তার পরবর্তী সময়ে, গাজা এবং ফিলিস্তিনিদের পরিস্থিতি নিয়ে যে বক্তব্যগুলি উঠে এসেছে, তা নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
এখানে ট্রাম্পের বক্তব্যের মূল বিষয় হলো—তিনি মনে করেন, গাজা আর কোনও উপযুক্ত জায়গা নয় এবং তা যদি একদিন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়, তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে ধনী রাষ্ট্রগুলো, এই কাজে সহায়তা করবে। তিনি বলেছেন, অন্য আরব দেশগুলো, যেমন জর্ডান এবং মিশর, তাদের গ্রহণ করতে পারে, কিন্তু তা কার্যকর না হলে, ফিলিস্তিনিরা হয়তো একদিন গাজার বাইরে চলে যাবে এবং আর কখনো ফিরে আসবে না।
এই ধরনের বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুর প্রতি ট্রাম্পের অবস্থানকে আরও বেশি সুস্পষ্ট করে তুলেছে। নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্পের মধ্যে সম্পর্কের দৃঢ়তা এবং তাদের মধ্যে বৈঠকগুলি তাদের নীতির অনেকটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, এই আলোচনা গাজার ভবিষ্যত এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার সম্পর্কে নতুন ধারণা তৈরি করেছে যা অনেকের কাছে বিতর্কিত।
এদিকে, গাজার অবস্থা এবং ফিলিস্তিনির মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলি বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গাজায় যুদ্ধ এবং অবরোধের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ, এবং সেখানে এক ধরনের আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্বও রয়েছে।
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, গাজার পরিস্থিতি এবং ট্রাম্পের মন্তব্য আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মঞ্চে নানা ধরনের উত্তেজনা এবং বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, এবং ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার বিষয়টি এখনও একটি বহুল আলোচিত এবং অমীমাংসিত বিষয়।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক