ছবিঃ সংগৃহীত
বিশ্বব্যাপী ইসমাইলি মুসলিম সম্প্রদায়ের আধ্যাত্মিক নেতা প্রিন্স করিম আগা খান (৮৮) পর্তুগালে তাঁর পরিবারের উপস্থিতিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। আগা খান ফাউন্ডেশন ও ইসমাইলি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১৯৫৭ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি তাঁর দাদার উত্তরসূরি হিসেবে ইসমাইলি মুসলিমদের নেতা হন। তাঁর দাদা আগা খান তৃতীয় তাঁকে উত্তরাধিকারী ঘোষণা করে বলেন, নতুন যুগে বেড়ে ওঠা এক তরুণ নেতার প্রয়োজন।
আগা খান চতুর্থ শুধু আধ্যাত্মিক নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। তাঁর নেতৃত্বে আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (AKDN) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাসপাতাল, স্কুল, আবাসন ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্প গড়ে তোলে। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে তিনি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেন।
তিনি ইসলামিক সংস্কৃতি ও স্থাপত্য সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। তিনি এমআইটি ও হার্ভার্ডে ইসলামিক স্থাপত্য নিয়ে গবেষণার উদ্যোগ নেন এবং আগা খান আর্কিটেকচার পুরস্কার চালু করেন।
বিশ্বব্যাপী ইসমাইলি সম্প্রদায় তাদের আধ্যাত্মিক নেতাকে বার্ষিক আয় থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ দান প্রদান করে। আগা খান একবার বলেছিলেন, “আমরা সম্পদের সঞ্চয়কে মন্দ কিছু হিসেবে দেখি না। ইসলামি নীতিতে বলা হয়েছে, সমাজে সুবিধাপ্রাপ্তদের দায়িত্ব হলো সমাজের প্রতি নৈতিক দায়বদ্ধতা পালন করা।”
তাঁর মৃত্যুতে ইসমাইলি সম্প্রদায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে। উত্তরসূরি কে হবেন, তা পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আগা খান চতুর্থ তাঁর তিন পুত্র ও এক কন্যাকে রেখে গেছেন।
রিফাত