টেসলা এবং স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক (Elon Musk) আবারও নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছেন। পরপর দু’বছর এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম বিবেচিত হয়েছে। ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের সদস্য ব্রাঙ্কো গ্রিমস জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মাস্কের নাম মনোনীত হয়েছে মূলত বাকস্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলার কারণে। এই মনোনয়নকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির কাছে মাস্কের শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাস্ক বরাবরই প্রযুক্তি, গণমাধ্যম এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, মুক্ত চিন্তার প্রসার এবং বাকস্বাধীনতা মানবাধিকার রক্ষার অন্যতম স্তম্ভ। এসব কারণেই তাঁকে ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
এই প্রথম নয়, গত বছর ২০২৪ সালেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নে জায়গা পেয়েছিলেন ইলন মাস্ক। তখন তাঁর মনোনয়নের অন্যতম কারণ ছিল বাকস্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলাকালীন ইউক্রেনের পক্ষ নেওয়া।
মাস্ক ইউক্রেনের ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালু করেন, যা দেশটির গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগব্যবস্থা সচল রাখতে সহায়ক হয়েছিল। নরওয়ের সাংসদ মারিয়াস নিলসেন ২০২৪ সালে মাস্ককে মনোনীত করে বলেছিলেন, "মাস্ক বিশ্বের মুক্ত চিন্তার পক্ষে লড়াই করছেন এবং বাকস্বাধীনতার রক্ষক হিসেবে কাজ করছেন।"
নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন প্রসঙ্গে আলোচনার আরেকটি বিষয় হলো ইলন মাস্কের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রশাসনে তাঁর বিশেষ প্রভাব রয়েছে এবং মার্কিন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে তিনি ভূমিকা রাখছেন। এমনকি ট্রাম্প প্রশাসনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদেও তাঁর নাম শোনা যাচ্ছে।
২০২৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেও ইলন মাস্ক শেষ পর্যন্ত পুরস্কার পাননি। তবে ২০২৫ সালে তাঁর সম্ভাবনা কতটা?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাকস্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের জন্য তাঁর ভূমিকা আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত হলেও নোবেল কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তাঁর রাজনৈতিক সংযোগ এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ডও বিবেচনায় আনতে পারে।
সূত্র:হান্ট
আফরোজা