প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শুল্ক আরোপ—মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যে ২৫% এবং চীনা পণ্যে ১০%—আমেরিকান ভোক্তাদের জন্য বিভিন্ন দৈনন্দিন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হতে পারে। এখানে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ আইটেম রয়েছে, যেগুলোর দাম বাড়তে পারে:
-
তাজা ফলমূল ও শাকসবজি: মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা অ্যাভোকাডো ও চেরি টমেটোর মতো ফল ও সবজির দাম নতুন শুল্কের কারণে বাড়তে পারে।
-
বিয়ার ও অ্যালকোহল: জনপ্রিয় মেক্সিকান বিয়ার যেমন মডেলো এবং অন্যান্য আমদানি করা অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় শুল্কের ফলে আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে।
-
পেট্রোল ও গ্যাসোলিন: কানাডার অপরিশোধিত তেলের উপর ১০% শুল্ক আরোপের কারণে আমেরিকানদের জন্য গ্যাসোলিনের দাম প্রতি গ্যালনে প্রায় ১০ সেন্ট বাড়তে পারে।
-
গাড়ি ও যন্ত্রাংশ: মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আমদানি করা যানবাহন এবং অটোমোবাইল যন্ত্রাংশের দাম বাড়তে পারে, যা নতুন গাড়ির দাম এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ উভয়ের উপর প্রভাব ফেলবে।
-
ইলেকট্রনিকস: চীনের তৈরি স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, এবং গেমিং কনসোলসহ ভোক্তা ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম ১০% শুল্কের কারণে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
-
নির্মাণ সামগ্রী: নির্মাণ শিল্প কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা ইস্পাত ও কাঠের মতো উপকরণের জন্য উচ্চ মূল্যের মুখোমুখি হতে পারে, যা ভবন নির্মাণ ও সংস্কার প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এই শুল্কগুলি মূলত মার্কিন শিল্পগুলিকে রক্ষা করার পাশাপাশি অভিবাসন ও মাদক পাচারের মতো সমস্যাগুলি মোকাবেলার উদ্দেশ্যে আরোপ করা হয়েছে। তবে, এগুলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটানোর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। কানাডা ও মেক্সিকোর পাল্টা শুল্ক আরোপের ফলে এই চ্যালেঞ্জ আরও বাড়তে পারে এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।
সাজিদ