ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের ১৪৬টি সুখী দেশের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান ১২তম। তবে, এই সুখী দেশে প্রায় এক লাখ ২২ হাজারেরও বেশি গৃহহীন মানুষ বসবাস করছেন, যাদের বেশিরভাগই যুবক। অস্ট্রেলিয়ান ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার এর এক প্রতিবেদন থেকে এই চিত্রটি সামনে এসেছে, যা দেশটির গৃহহীনতার সমস্যা সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
অস্ট্রেলিয়ার যুবকদের গৃহহীন হওয়ার পেছনে কয়েকটি মূল কারণ উঠে এসেছে ফোয়ার ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারিবারিক ভাঙন, মানসিক অসুস্থতা, নিপীড়ন, মাদকাসক্তি, আর্থিক সমস্যা, অসুস্থতা, জুয়া এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এসবের মধ্যে অন্যতম। এছাড়া, অনেক যুবক নতুন এলাকায় গিয়ে চাকরি হারানো বা কোনো সহায়তা না পাওয়ার কারণে গৃহহীন হয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ান হোমলেস মনিটরের মতে, পারিবারিক সহিংসতা গৃহহীন হওয়ার প্রধান কারণ এবং এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে যুবকেরা।
ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ার সহযোগী অধ্যাপক ও আপস্ট্রিম অস্ট্রেলিয়ার সিইও ডেভিড ম্যাকেঞ্জি এই সমস্যা সমাধানে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, আবাসন এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা, পাশাপাশি দুর্বল শিক্ষার্থীদের স্কুল কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তি গৃহহীনতা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। তিনি আরও বলেন, "যদি কিশোর বয়সে গৃহহীনতার অভিজ্ঞতা হয়, তাহলে তা সারাজীবন প্রভাব ফেলতে পারে।"
সরকারের সমাজসেবা বিভাগের এক মুখপাত্র জানান, গৃহহীনদের সহায়তায় সরকার যথেষ্ট বিনিয়োগ করছে। সরকার রাজ্য এবং অঞ্চল সরকারগুলোকে সামাজিক আবাসন এবং গৃহহীনতা পরিষেবা খাতে পরিচালনার জন্য ৯.৩ বিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে। যুব গৃহহীনতা প্রতিরোধে ৯১.৭ মিলিয়ন ডলারও বিনিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া, ঝুঁকিতে থাকা যুবকদের জন্য এক বিলিয়ন ডলার তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে।
রেজা