সংগৃহীত
দক্ষিণ এশিয়ার পরাশক্তি চীনকে টেক্কা দিতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে হাতে রাখতে নানা কৌশল নেয় ভারত। বিশেষ করে ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব থাকা ভূটান, নেপাল,মালদ্বীপ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোতে প্রভাব বিস্তারে সহায়তার কৌশল গ্রহণ করে।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নতুন অর্থবছরে অস্ত্রশস্ত্র কেনার জন্য প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়িয়েছে ভারত।প্রায় ১০% প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়িয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
বাজেটে আগের অর্থবছরের মতো বাংলাদেশের জন্য ১২০ কোটি রুপি বরাদ্দ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বাণিজ্য সহ বিভিন্ন স্বার্থে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও সরকার উভয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ভারতের। এমন পরিস্থিতিতে চরম অস্থিতিশীল দেশটির জন্য একশ কোটি রুপির সহায়তা বাড়িয়েছে ভারত ।জান্তা সরকারের জন্য নতুন করে একশ কোটি রুপি বাড়িয়ে সাড়ে তিনশ কোটি রুপি সহায়তা দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ।
প্রতিবেশী দেশ ভূটান, নেপাল, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কার জন্য রয়েছে প্রায় ৫৫০০ কোটি রুপির আলাদা বরাদ্দ।
মুইজ্জু সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র সহ নানা ইস্যুতে মালদ্বীপের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে ভারতের।বরাদ্দ বাড়িয়ে সেই সম্পর্ক জোড়াতালি দেওয়ার চেষ্টা করছে ভারত। নতুন বাজেটে মালদ্বীপের জন্য বরাদ্দ বেড়েছে দুইশ কোটি রুপি।
সবচেয়ে বেশি ২১০০কোটি রুপির বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে চীনের প্রভাব বাড়তে থাকা ভুটানের উপর। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের জন্য একশ কোটি রুপির সহায়তা কমিয়ে এনেছে ভারত। এর আগের বছর দেশটির জন্য দুইশ কোটি রূপী বরাদ্দ রাখলেও এবার তা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
প্রতিবেশী দেশগুলোর উপর সফট পাওয়ার হিসেবে পরিচিত সাংস্কৃতিক আধিপত্য বাড়াতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আই সি সি আর) এর জন্য ৩৫১ কোটি রুপি বরাদ্দ দিয়েছে ভারত।পাকিস্তান চিনের সাথে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে দেশটির সামরিক ও প্রতিরক্ষা বরাদ্দ বাড়িয়েছে সরকার।
সূত্র: https://tinyurl.com/32fjupnb
আফরোজা