সংগৃহীত
অন্যতম প্রধান তিন ব্যবসায়িক অংশীদারের উপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপের প্রভাব পড়বে খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই। বিশ্লেষকরা মনে করছেন কানাডা,মেক্সিকো এবং চীনকে চাপে রাখার উদ্দেশ্য হলেও উল্টো বিপাকে পড়বেন মার্কিন ব্যবসায়ীরাও ৷ এমনকি অতিরিক্ত শুল্ক আরোপে বন্ধ হতে পারে বহু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। সেইসাথে রয়েছে মূল্যস্ফীতির শঙ্কা।
মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হচ্ছে চিন কানাডা মেক্সিকোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক। মার্কিন পণ্যের উপর পালটা শুল্ক কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা ও মেক্সিকো। নির্বাচনের আগে যে অঙ্গীকার করেছিলেন ট্রাম্প, তাই এখন একে একে কার্যকর করছেন।
মার্কিন ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশকারী এবং ফেন্টানিলের মতো ভয়ঙ্কর মাদকের চোরাচালান ঠেকাতে ট্রাম্পের এই উদ্যোগ। তবে বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালি তিন ব্যবসায়ী অংশীদারদের চাপে রাখতে গিয়ে নিজের দেশকেই হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছেন ট্রাম্প ৷ তাঁরা মনে করছেন, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুধু এই তিন দেশের বাণিজ্যে না, প্রভাব ফেলবে মার্কিন অর্থনীতিতেও।
যুক্তরাষ্ট্র আসলে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করে, যেমন অটোমোবাইল,খাদ্য ও জ্বালানি। যার বড় একটি অংশ আসে কানাডা, ম্যাক্সিকো, চিন এই তিন দেশ থেকেই। শুল্কের কার।মানে সব পণ্য আমদানি করা কোম্পানিগুলোকে অতিরিক্ত কর দিতে হয়। যা শেষমেশ চাপে ফেলবে ভোক্তাদের। পাশাপাশি প্রভাব পড়বে মূল্যস্ফীতিতে।
নব্বইয়ের দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মধ্যে অ্যালকোহল পণ্যের বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে ৪০০০ শতাংশের বেশি। তাই মেক্সিকোর ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের চরম বিপাকে পড়বেন দেশটির সাথে যুক্ত মার্কিন মত ব্যবসায়ীরা। এছাড়া অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হবে ক্রেতাদেরও৷
ট্রাম্পের আদেশ কার্যকরের পর কানাডা, মেক্সিকো ও চীনে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিকল্প উপায় খুঁজতে ব্যস্ত ৷ যদিও অনেকের পক্ষেই ব্যবসা পুরোপুরি গুটিয়ে ফেলা অসম্ভব। অনেক আমেরিকান মনে করেন শুল্ক মনে হয় চীনকে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে আমদানিকারক হিসাবে এর বোঝা ব্যবসায়ীদের বহন করতে হবে।
কাঁচামালের জন্য ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ পুরোপুরি চিনের উপর নির্ভরশীল। চাইলে এখান থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে পারবে না।
পাইকারি দাম ১০-৩০ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য আমদানি করে ওয়াশিংটন। যার ৪০% সরবরাহ করে কানাডা, মেক্সিকো এবং চীন।
সূত্র: https://tinyurl.com/yc5prkjm
আফরোজা