বিপ্লবী গার্ডের নৌবাহিনী রবিবার ইরানের দক্ষিণ উপকূলে একটি নতুন ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা উন্মোচন করেছে। ভূগর্ভস্থ নৌ ঘাঁটি উন্মোচনের দুই সপ্তাহ পর নতুন এই ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা উন্মোচন করল ইরান। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে উন্মোচনের দৃশ্য দেখানো হয়। খবর ইরনার।
এদিকে ইরান রবিবার একটি নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে, যা এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পাড়ি দিতে সক্ষম বলে জানানো হয়েছে। রাজধানী তেহরানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এটি উন্মোচন করেন। অন্যদিকে জাতীয় মহাকাশ প্রযুক্তি দিবসে তিনটি নিজস্ব রিমোট-সেন্সিং ও যোগাযোগ উপগ্রহ সামনে আনতে যাচ্ছে ইরান। এগুলো যোগাযোগ ও ছবি সংগ্রহে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ক্ষেপণাস্ত্রটির ছবি সম্প্রচার করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘এতেমাদ’, ফার্সি ভাষায় যার অর্থ বিশ্বাস। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা সর্বশেষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এটি। যার সর্বোচ্চ পাল্লা এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার বলে জানানো হয়েছে। ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছে। এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রসহ ইরানের অস্ত্রভাণ্ডারের অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র তাদের চিরশত্রু ইসরাইলে পৌঁছতে সক্ষম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূগর্ভস্থ শহরগুলোতে ধ্বংসকারী ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধে শত্রুপক্ষকে মোকাবিলা করতে সক্ষম শত শত ক্রুজ মিসাইল রাখা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভূগর্ভের শত শত মিটার গভীরে রাখা হয়েছে এবং খুবই কম সময়ের মধ্যে ব্যবহার করা যায়। সমুদ্রের অনেক দূরের লক্ষ্যবস্তুতে এটি আঘাত হানতে সক্ষম।