গাজায় চুক্তির শর্ত অনুযায়ী শনিবার ১৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে নিজেদের কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। যাদের একজন হলেন পশ্চিমতীরের বৃদ্ধ আলী নাজ্জাল। মুক্তি পাওয়ার পর নিজের শিশু সন্তানকে জীবনে প্রথমবারের মতো দেখতে পেয়েছেন এই ফিলিস্তিনি। তিনি যখন ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ছিলেন তখন কৌশলে নিজের শুক্রাণু পাচার করেন তিনি। সেই শুক্রাণু থেকেই জন্ম নেয় এই শিশুটি। সাজা আলামি নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই বাবা-ছেলের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
ছবির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, শরীফের জন্ম হয়েছে পাচার হওয়া শুক্রাণু থেকে। প্রথমবার সে তার বাবা, মুক্তি পাওয়া বন্দি আলী নাজ্জালকে জড়িয়ে ধরেছে। তিনি ইসরাইলের সঙ্গে জিম্মি চুক্তির অংশ হিসেবে চতুর্থ ব্যাচে মুক্তি পেয়েছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরাইলের বেশ কিছু অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। ওই সময় প্রায় ২৫০ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে যায় তারা। আল আকসা ফ্লাড নামের ওই হামলার পর হামাস জানায়, তারা যে কয়জনকে গাজা থেকে ধরে নিয়ে এসেছেন, তাদের মাধ্যমে ইসরাইলি কারাগারে আটকে থাকা প্রায় সব ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছাড়িয়ে আনতে পারবেন।
এদিকে, দীর্ঘ নয় মাস পর অবশেষে ফিলিস্তিনের রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৫০ জন গুরুতর অসুস্থ ও আহত ফিলিস্তিনি রোগী মিসরে চিকিৎসার জন্য রাফাহ সীমান্ত পার হয়েছেন।