ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১

বাণিজ্য যুদ্ধের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, লাভবান হবে কে?

প্রকাশিত: ১৮:০৪, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাণিজ্য যুদ্ধের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, লাভবান হবে কে?

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশেষে কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন। শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) তিনি তিনটি পৃথক নির্বাহী আদেশে সই করেন, যার মাধ্যমে আগামী মঙ্গলবার থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে।

ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে, চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্প দাবি করছেন, এই পদক্ষেপ মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী হবে এবং আমেরিকানদের রক্ষা করবে।

তবে বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে। তারা আশঙ্কা করছেন, এই শুল্ক আরোপ মুদ্রাস্ফীতি বাড়াবে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমাবে এবং মার্কিন কর্মীদের ক্ষতি করবে। বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ওপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ট্রাম্পের পদক্ষেপের পরই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা, মেক্সিকো ও চীন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, তার সরকার ১৫৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। প্রথম পর্যায়ে ৩০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যতে শুল্ক কার্যকর হবে, বাকি ১২৫ বিলিয়ন ডলার ২১ দিনের মধ্যে শুল্কের আওতায় আসবে।

এছাড়া, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেনবাউমও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মেক্সিকো শুল্ক আরোপের পাশাপাশি অন্যান্য পদক্ষেপও নেবে।

এদিকে, চীনও তাদের পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আর এর ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এই শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হতে পারে, এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্কাস নোল্যান্ড বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে মার্কিন অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এবং অন্যান্য দেশগুলো পাল্টা ব্যবস্থা নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

তবে ট্রাম্প দৃঢ়ভাবে দাবি করছেন, তার এই বাণিজ্য নীতি আমেরিকানদের জন্য লাভজনক হবে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করবে।

তৌহিদ

×