ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১

গ্রাহকদের ভোগান্তি

বার্কলেস ব্যাংকের প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান, স্বাভাবিক হয়েছে সেবা

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বার্কলেস ব্যাংকের প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান, স্বাভাবিক হয়েছে সেবা

ছবি : সংগৃহীত

সপ্তাহান্তে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সেবা ও অর্থ লেনদেন ব্যাহত হওয়ার পর বার্কলেস ব্যাংক জানিয়েছে, এখন সব পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে এবং বিলম্বিত লেনদেনগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে।

ব্যাংকটি জানিয়েছে, রবিবার সকালে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে এবং গ্রাহকদের স্থগিত থাকা অর্থপ্রদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

গ্রাহকদের জন্য বার্কলেসের দুঃখপ্রকাশ

শুক্র ও শনিবার প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে অনেক গ্রাহক আউটডেটেড ব্যালেন্স দেখছিলেন এবং অর্থপ্রদান বা গ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য আপডেট হচ্ছিল না।

রবিবার সকালে বার্কলেসের এক মুখপাত্র বলেন, শুক্র ও শনিবার আমাদের গ্রাহকদের যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে, সেটির সমাধান করা হয়েছে এবং বিলম্বিত অর্থপ্রদানও সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অ্যাপ, অনলাইন ব্যাংকিং, ফোন ব্যাংকিং, কার্ড লেনদেন এবং নগদ উত্তোলন এখন স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। কিছু গ্রাহকের ব্যালেন্স আপডেট করা এবং অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং নিশ্চিত করছি যে কোনো গ্রাহক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না।

তিনি জানান, কল সেন্টারগুলো সপ্তাহান্তে অতিরিক্ত সময়ের জন্য চালু রাখা হয়েছে এবং বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা ঝুঁকিপূর্ণ গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।

সাইবার হামলা নয়, প্রযুক্তিগত সমস্যা

জানা গেছে, এই সমস্যার পেছনে কোনো সাইবার হামলা দায়ী নয়; বরং এটি শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল।

শুক্রবারের এই বিপর্যয়টি এমন এক সময়ে ঘটেছিল, যখন অনেক কর্মী বেতন পেতেন এবং সেলফ অ্যাসেসমেন্ট ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল।

যুক্তরাজ্যের রাজস্ব ও কাস্টমস বিভাগ (HMRC) জানিয়েছে, তারা বার্কলেস ব্যাংকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যাতে করদাতাদের ওপর প্রভাব কমানো যায় এবং তাদের পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে।

গ্রাহকদের ভোগান্তি ও ক্ষোভ

অনলাইন পরিষেবা ট্র্যাকার Down Detector-এর তথ্য অনুসারে, শনিবার হাজারো গ্রাহক মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং এবং বিল পরিশোধে সমস্যার মুখোমুখি হন।

অনেক ক্ষুব্ধ গ্রাহক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ভোগান্তির কথা জানান।

একজন মা অভিযোগ করেন, “বার্কলেসের কারণে আমি টাকার অভাবে পড়েছি। সকালে আমার খাবারের ডেলিভারি আসার কথা ছিল, যা এখন বাতিল হয়ে যাবে, ফলে আমার চার সন্তান খাবার পাবে না। এটি খুবই দুঃখজনক, কারণ এটি আমার নিজের টাকা।”

আরেকজন লেখেন, “আমি টেসকোতে আমার পুরো বাজার ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছি। জীবনে এতটা লজ্জিত হইনি, নিজের টাকা ব্যবহার করতেও পারছি না।”

মো. মহিউদ্দিন

×