ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি বিল গেটস সম্প্রতি স্বীকার করেছেন, মেলিন্ডা ফ্রেন্সের সঙ্গে তার ২৭ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টানা ছিল একটি ভুল সিদ্ধান্ত। তিনি জানান, "এই ভুলের জন্য আমি সবচেয়ে বেশি অনুতপ্ত।"
মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেন, জীবনে তার অনেক ব্যর্থতা রয়েছে, তবে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা ছিল মেলিন্ডার সঙ্গে সম্পর্কের অবসান।
তিনি আরও বলেন, "বিচ্ছেদের পর অন্তত দুই বছর আমি এবং মেলিন্ডা দুজনেই অস্বস্তিতে ভুগেছি।" বিল গেটস উল্লেখ করেন, তিনি আশা করেছিলেন, তার মা-বাবা বিল সিনিয়র এবং মেরির মতো তাদের সম্পর্কও দীর্ঘস্থায়ী এবং সুখী হবে। তার মা-বাবা ৪৫ বছর একসাথে ছিলেন।
২০২২ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ‘টুডে’তে উপস্থাপক সাভানা গুথরি বিল গেটসকে প্রশ্ন করেছিলেন, তাদের বিচ্ছেদের পিছনে কি কোনো ধরনের অবিশ্বাস কাজ করেছে? সে সময় গেটস বলেন, "আমি আমার পরিবারকে অনেক যন্ত্রণা দিয়েছি।" তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এছাড়া, একই বছরে মেলিন্ডা ফ্রেন্স গেটস ‘সিবিএস মর্নিং’-এ সাক্ষাৎকারে বলেন, বিল গেটসের জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক তাদের বিচ্ছেদের একটি বড় কারণ ছিল। মেলিন্ডা জানান, "আমি জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে তার সম্পর্ক পছন্দ করতাম না। আমি তাকে সরাসরি বলেছি, তিনি একজন জঘন্য মানুষ ছিলেন।"
২০২১ সালে ৬০ বছর বয়সে মেলিন্ডা যখন বিচ্ছেদের কাগজপত্র প্রস্তুত করেন, তখন বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। ২৭ বছর দাম্পত্য জীবন কাটানোর পরও তারা কোনো প্রাক্-বৈবাহিক চুক্তি করেননি, তবে বিচ্ছেদের সময় তারা একটি 'বিচ্ছেদের চুক্তি' স্বাক্ষর করেছিলেন।
২০২৩ সালে, বিল গেটস সাবেক এনসিআর গ্লোবালের নির্বাহী পলা হার্ডের সঙ্গে সম্পর্কের সূচনা করেন। পলা হার্ডের স্বামী মার্ক হার্ড ২০১৯ সালে মারা যান। অন্যদিকে, মেলিন্ডা ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে তার পুরনো বন্ধু ফিলিপ ভনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা প্রকাশ করেন।
এটি বিল গেটস এবং মেলিন্ডার জীবনের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা, যা তাদের নিজেদের পথ অনুসরণের সাথে সাথে তাদের অতীতের ভুল এবং সিদ্ধান্তের প্রতিফলন হিসেবেও দেখা যেতে পারে।
নুসরাত