গাজায় জিম্মি মুক্তির আগে হামাস যোদ্ধাদের প্রস্তুতি
ইসরাইলি গণহত্যার অবসান ঘটানো যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় চতুর্থ দফায় আরও তিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শনিবার প্রথমে ফ্রেঞ্চ-ইসরাইলি দ্বৈত নাগরিক ওফার কালদেরন ও ইসরাইলি ইয়ার্ডেন বিবাসকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক পর ভূখণ্ডটির উত্তর অংশের গাজা সিটি থেকে ছাড়া হয় আমেরিকান-ইসরাইলি দ্বৈত নাগরিক কিথ সিগেলকে।
উভয় স্থানেই কয়েকশ হামাস যোদ্ধা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে ভিড় সামলেছেন; জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার সময় কালদেরন, বিবাস ও সিগেলকে জনতার উদ্দেশে হাতও নাড়তে দেখা গেছে। শনিবার পরের দিকে গাজা ও মিসরের মধ্যে থাকা রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংও খুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। এদিন প্রথম পর্বে মুক্ত কালদেরন ও বিবাস এরই মধ্যে ইসরাইলে পৌঁছেও গেছেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে তাদেরকে প্রাথমিক মেডিক্যাল চেকআপের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। মাসের পর মাস ইসরাইলি বোমাবর্ষণের পরও যে হামাস গাজার পরিস্থিতি চাইলে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে শনিবারের জিম্মিমুক্তি তা প্রমাণ করেছে, বলছেন কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি বিশেষজ্ঞ লুসিয়ানো জাকারা। যদিও ইসরাইল দাবি করছে যে হামাস ধ্বংস হয়েছে, কিন্তু আমরা যেসব দৃশ্য দেখছি, তাতে হামাস যে এখনো আছে তার ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।