ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১

মুক্তি পাচ্ছেন ১৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মুক্তি পাচ্ছেন ১৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি

ছবিঃ সংগৃহীত।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের তিন জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর, আজ ইসরায়েলও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তাদের কারাগার থেকে ১৮০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে বেশ কিছু ফিলিস্তিনি আছেন যারা যাবজ্জীবন বা দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ডে দণ্ডিত।

এটি একটি বন্দী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে ঘটছে, যা দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে এবং মানবিক কারণে কিছু সুবিধা প্রদান করতে পারে। তবে, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মধ্যে কিছু এমন ব্যক্তি রয়েছেন, যাদেরকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে, তাই এই মুক্তির পদক্ষেপটি রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস নতুন করে ইসরায়েলের তিন জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন ইয়ার্দেন বিবাস (৩৪), ওফার কালডেরন (৫৩), এবং কেইথ সিগেল (৬৫)।আজ শনিবার তারা রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করে।

এর আগে, ৩০ জানুয়ারি, হামাস ৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল, যাদের মধ্যে ৩ জন ইসরায়েলি নাগরিক এবং ৫ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক ছিল। সেই সময়, গাজার খান ইউনিস এলাকায় মুক্তির ঘটনার পরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। তবে আজ, নতুন তিনজনের মুক্তি দেওয়ার সময় পরিস্থিতি ছিল সুশৃঙ্খল এবং শান্তিপূর্ণ। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে, হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা ও সামরিক সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে, বন্দী বিনিময়ের প্রক্রিয়া সামনে আসছে।

ইয়ার্দেন বিবাসের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকেও হামাসের যোদ্ধারা জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল। তবে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় তারা প্রাণ হারান। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে হামাস তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল, যদিও ইসরায়েল সরকার এই তথ্যটি স্বীকার করেনি। তবে, আজ যেহেতু ইয়ার্দেন বিবাস তার স্ত্রী ও সন্তানদের ছাড়া মুক্তি পেয়েছেন, তাই ধারণা করা হচ্ছে তারা নিহত হয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, হামাস চুক্তির অংশ হিসেবে শিগগিরই তাদের মরদেহগুলো ফেরত দিতে পারে।

এই বন্দী বিনিময় চুক্তি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে অনেকেরই আশা যে, এটি দুই পক্ষের মধ্যে সাময়িক শান্তি বা সংকট কমানোর দিকে একটি পদক্ষেপ হতে পারে।

এছাড়া আজই গাজা ও মিসর সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং খুলে দিচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যে ক্রসিংটির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে নিয়ে নেয় ইসরায়েলি সেনারা। এতে করে চিকিৎসাসহ অন্যান্য জরুরি কাছে ফিলিস্তিনিরা আর গাজা থেকে বের হতে পারছিলেন না। ক্রসিং খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর অসুস্থ শিশুদের সেখানে নিয়ে আসা হয়। তারা গাজা থেকে অন্য কোনো দেশে উন্নত চিকিৎসা করাতে যাবে।

Faruk

×