ছবিঃ সংগৃহীত।
চলমান যুদ্ধবিরতির মাঝেই ইসরায়েলের বিমান বাহিনী লেবাননের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে। শুক্রবার রাতে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, তাদের বিমান বাহিনী (আইএএফ) লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় বেকা অঞ্চলে অভিযান চালিয়েছে। আইডিএফ জানায়, এই অভিযানটি ছিল প্রতিরক্ষা উদ্দেশ্যে এবং এই হামলার মাধ্যমে তারা এমন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, যেগুলি তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে, লেবানন সরকারের পক্ষ থেকে এখনও এই হামলার ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে এটি এই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করেছে। এই হামলার ফলে যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে যে স্থিতিশীলতা ছিল তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে ইসরায়েল এবং লেবাননের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা শত্রুতার প্রেক্ষাপটে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, চলমান অভিযানে তারা লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর একটি ভূগর্ভস্থ অস্ত্র উৎপাদন কারখানা ধ্বংস করেছে। এই অভিযানটি লেবাননের পূর্বাঞ্চলীয় বেকা অঞ্চলে সংঘটিত হয়েছে, যা লেবানন ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল।
আইডিএফ জানায়, ধ্বংস করা হওয়া অস্ত্র উৎপাদন কারখানাটির অবস্থান ছিল সীমান্তের কাছাকাছি। এই কারখানাটি ব্যবহার করা হত হিজবুল্লাহর অস্ত্র উৎপাদন এবং সিরিয়ার আসাদপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জন্য অস্ত্র সরবরাহের কাজে। তাদের মতে, এই সীমান্তের মাধ্যমে হিজবুল্লাহ সিরিয়ার বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে অস্ত্র সরবরাহ করত, যা অঞ্চলটিতে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এ হামলা লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান শত্রুতা ও সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সংঘাতের পর ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর লেবাননে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তবে এই এক বছরের সংঘাতে হিজবুল্লাহর অধিকাংশ সামরিক স্থাপনা ধ্বংস এবং গোষ্ঠীটির প্রেসিডেন্ট হাসান নাসরুল্লাহসহ শীর্ষ পর্যায়ের সব নেতাকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠার পর বর্তমানে সবচেয়ে দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে হিজবুল্লাহ।