ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১

যুদ্ধের বদলে আলোচনার টেবিল: চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারের নতুন মোড়

প্রকাশিত: ০৭:৪৪, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

যুদ্ধের বদলে আলোচনার টেবিল: চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারের নতুন মোড়

চীনের কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে মিয়ানমারে দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধ থামাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। দেশটির বিদ্রোহী জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’-এর দ্বিতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ) মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তমিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় এমএনডিএএ চলতি বছরের জুনের মধ্যে উত্তর শান রাজ্যের বৃহত্তম শহর লাশিও থেকে তাদের যোদ্ধাদের প্রত্যাহার করবে। গত বছরের আগস্টে শহরটি দখল করেছিল এমএনডিএএ যোদ্ধারা।

থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স ও অপারেশন ১০২৭
২০১৯ সালে এমএনডিএএ, তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএএলএ), এবং আরাকান আর্মি (এএ) মিলে গঠন করেছিল বিদ্রোহী জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। ২০২৩ সালের নভেম্বরে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে তাদের অভিযান ‘অপারেশন ১০২৭’ ব্যাপক সফলতা পায়।

বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রণ ও জান্তার পাল্টা আক্রমণ
বর্তমানে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি রাখাইনকে কেন্দ্র করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করছে। এদিকে এমএনডিএএ শান প্রদেশের রাজধানী লাশিও ও আশপাশের বিস্তৃত অঞ্চলের দখল নিয়ে রেখেছে।

চীনের ভূমিকা ও কৌশলগত প্রভাব
চীনের কূটনৈতিক উদ্যোগে চলতি মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও বৃহত্তম বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও টিএনএলএ এখনও জান্তার সঙ্গে আপোসে আসতে নারাজ। কিয়াউকফিউ সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক ‘চীন-মায়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর’ সুরক্ষিত রাখতে চীন এই কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মিয়ানমারের সামরিক সংকটের এই গুরুত্বপূর্ণ মোড় চীনের আঞ্চলিক প্রভাব বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। তবে অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীর যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পরিস্থিতি আরও জটিল করতে পারে।

সূত্রঃ South China Morning Post

রাজু

×