নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আবারও রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানির বিষয়ে ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে গ্যাস সরবরাহ পুনরায় চালুর বিষয়ে জোটের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নিষেধাজ্ঞার কারণে সরাসরি পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে বিকল্প উৎসের সন্ধান করতে হয় ইইউভুক্ত দেশগুলোকে। তবে সম্প্রতি চড়া মূল্যের কারণে জার্মানি ও হাঙ্গেরির মতো দেশগুলো রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি পুনরায় চালুর পক্ষে মত দিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্যাসের চাহিদার ৪০ শতাংশ সরবরাহ করত রাশিয়া। নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্র ও নরওয়ে থেকে এলএনজি আমদানির পরিমাণ বাড়াতে হয় ইইউকে। এতে জোটভুক্ত দেশগুলোর জ্বালানি খরচ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বিশেষত জার্মানির অর্থনীতিতে এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
ইইউভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশ পুনরায় রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানির পক্ষে থাকলেও, বিপক্ষে আছে কেউ কেউ। গণমাধ্যমগুলো বলছে, পূর্ব ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করছে। তাদের আশঙ্কা, এমন সিদ্ধান্তে মস্কো আবারও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং রাশিয়ার ওপর ইইউর জ্বালানি নির্ভরতা বাড়বে।