ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪২ ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার

ফিলিস্তিনের গাজায় চলতি মাসে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলা হত্যাযজ্ঞের সমাপ্তি ঘটেছে। তবে এর পরও শেষ হয়নি ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহ পাওয়ার সংখ্যা। উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৪২ মরদেহ। বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি (এএ) তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও ৪২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৭ হাজার ৫০০ জনে। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও ৯ আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে করে ইসরাইলি হামলায় আহতের সংখ্যা এক লাখ ১১ হাজার ৫৮০ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে। উল্লেখ্য, গাজায় ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসনের আপাতত অবসান ঘটলেও ভূখণ্ডটিতে ইসরাইলি আক্রমণে নিখোঁজ রয়েছেন ১১ হাজারের বেশি মানুষ। এদিকে ফিলিস্তিনের গাজার অধিবাসীদের আবারও মিসর ও জর্ডানে পাঠানোর কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, এই দুটি দেশ গাজাবাসীদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত। যদিও মিসর ও জর্ডান উভয়েই ট্রাম্পের দাবিকে নাকচ করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকরা গাজাবাসীদের মিসর ও জর্ডানে পাঠানো ট্রাম্পের পরিকল্পনা, শুল্ক আরোপ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেন। এ সময় ট্রাম্প বলেন, ফলিস্তিনিদের গাজাছাড়া করা উচিত। এ ছাড়া মিসর ও জর্ডানের ওপর শুল্ক আরোপের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এটি করব।’
পশ্চিম তীরে নিহত দুই ॥ ইসরাইলি কারাগার থেকে বন্দিদের মুক্তির আনন্দ উদ্যাপন করায় আবারও পশ্চিম তীর থেকে ১২ ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পূর্ব জেরুজালেম থেকে তাদের আটক করে ইসরাইলি পুলিশ। এছাড়া জেনিন শরণার্থী শিবিরে বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ গেছে দুই ফিলিস্তিনির।