ছবি: সংগৃহীত
তেহরানের সামরিক ঘাঁটির চারপাশ নিস্তব্ধ, রাতের অন্ধকারে হঠাৎ এক ধাতব দৈত্যের মতো আকাশে উড়লো ইরানের নতুন সুপার হেভি ড্রোন "গাজা"। এটি ইরানের সামরিক শক্তির এক নতুন প্রতীক হয়ে উঠেছে। যা শুধুমাত্র ইরানের অস্তিত্ব রক্ষায় নয়, বরং প্রযুক্তিগতভাবে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠিয়েছে বিশ্বের কাছে।
গাজা ড্রোনটি ৪০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। যা ইরানের সামরিক সক্ষমতার একটি বিপরীত চিত্র তুলে ধরে। ড্রোনটির নামকরণ করা হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নামানুসারে। যা ইরানের পক্ষে শুধুমাত্র একটি অস্ত্র নয়, বরং একটি রাজনৈতিক সঙ্কেতও বটে। এটি পুরো মধ্যপ্রাচ্যের শোষিত জনগণের কন্ঠস্বর হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
গাজা ড্রোনটির দৈর্ঘ্য ২১ মিটার এবং এটি প্রায় ৩ টন পর্যন্ত ওজন বহন করতে সক্ষম। আধুনিক সেন্সর ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সমৃদ্ধ এই ড্রোনটি সঠিকভাবে নজরদারি এবং আক্রমণের কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। ইরান এটি দেখিয়ে দিতে চায় যে, তারা শুধু অস্ত্রের শক্তি নয়, আধুনিক প্রযুক্তিতেও পিছিয়ে নেই।
ইরান শুধুমাত্র একটি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব রক্ষা করছে না, বরং বৃহত্তর অঞ্চলের নেতৃত্বের দাবিদার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। গাজা ড্রোনটি ইরানের সেই কৌশলেরই একটি অংশ, যা তাদের প্রযুক্তিগত আধিপত্যের প্রমাণ হিসাবে বিশ্বে চিহ্নিত হচ্ছে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=3BLcy0aKSG0&t=3s
আশিক