ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে ইউক্রেনীয় বাহিনী ইতোমধ্যে ৫১ হাজার ৯৬০ সেনা হারিয়েছে। ডিসেম্বরে এই সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৪৭০ জন এবং নভেম্বরে ছিল ৬০ হাজার ৮০৫ জন। রুশ বাহিনীর সঙ্গে চলমান যুদ্ধে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার সেনা হারাচ্ছে ইউক্রেনের বাহিনী। গত ছয় মাস ধরে এমন পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে, জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতি মাসে গড়ে ৩০ হাজার নতুন সেনা নিয়োগ দিচ্ছে ইউক্রেন, তবে সেই তুলনায় সেনা নিয়োগের সংখ্যা হারানো সেনাদের সঙ্গে তুলনা করলে ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি, বাহিনী থেকে নিয়মিত সেনা পলায়নের ঘটনা ঘটছে। রুশ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনী থেকে প্রায় ১ লাখ সেনা পালিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে সাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন, ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রায় তিন বছরের যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া এবং খেরসন— এই চার প্রদেশের দখল নিয়েছে। রাশিয়ার প্রস্তাব হলো, কিয়েভ যদি ক্রিমিয়াসহ এই চার প্রদেশকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শেষ ঘোষণা করা হবে। অন্যদিকে, কিয়েভের দাবি, রাশিয়া যদি অধিকৃত অঞ্চলগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়, তবেই শান্তি সংলাপে বসার জন্য তারা প্রস্তুত।
সূত্র : আরটি
Faruk