ছবিঃ সংরক্ষিত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ব্রিকস দেশগুলোর (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, এবং দক্ষিণ আফ্রিকা) প্রতি কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, যদি এই দেশগুলো নতুন কোন ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় অথবা মার্কিন ডলারকে প্রতিস্থাপন করার জন্য অন্য কোন মুদ্রার পক্ষে অবস্থান নেয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে ১০০% শুল্ক আরোপ করা হবে।
ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম "ট্রুথ সোশ্যাল"-এ লেখেন, “ব্রিকস দেশগুলো যদি ডলারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তা সহ্য করা হবে না। আমাদের সরকার একটি প্রতিশ্রুতি চাইবে যে তারা নতুন কোন ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করবে না, বা অন্য কোন মুদ্রাকে মার্কিন ডলারের বিকল্প হিসেবে সমর্থন করবে না। অন্যথায়, তারা ১০০% শুল্কের মুখোমুখি হবে এবং জানিয়ে দিন, আমেরিকান অর্থনীতিতে তাদের কোনো স্থান থাকবে না।"
তিনি আরও বলেন, “এই শেষ সময় যে আমরা এই বিষয়টি উপেক্ষা করব। যে কোন দেশ যদি এমন পদক্ষেপ নেয়, তাদের উচিত আমেরিকার সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করা।”
এটি প্রথম নয়, এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেও ট্রাম্প ব্রিকস দেশগুলোকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন অর্থনীতির বিরুদ্ধে একত্রিত হওয়ার অভিযোগ তোলেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সতর্কতার মূল বিষয় হচ্ছে, বিশ্বে ডলারের আধিপত্য কমাতে ব্রিকস দেশগুলো একত্রিত হয়ে তাদের নিজস্ব মুদ্রা তৈরি করার পরিকল্পনা করছে। রাশিয়া ও চীন, বিশেষত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ডলারের পরিবর্তে অন্য কোন মুদ্রা ব্যবহারের আলোচনা করছে। তবে, ভারত এখনও এর সাথে সম্পৃক্ত নয়।
এই বিষয় নিয়ে আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির সাথে ব্রিকস দেশগুলোর বাণিজ্য সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, যদি এসব দেশ ডলারের পরিবর্তে অন্য কোন মুদ্রা ব্যবহারের পরিকল্পনা নেয়, তবে এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রেক্ষাপটে বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে।
এদিকে, ব্রিকস দেশগুলোর মুদ্রা ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা আরও তীব্র হয়ে উঠছে। বিশেষ করে রাশিয়া এবং চীন তাদের মুদ্রা ব্যবস্থাকে বৈশ্বিক স্তরে শক্তিশালী করার জন্য পরিকল্পনা করছে। কিন্তু, ভারতের অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়, যেহেতু তারা এখনও ডলারের বিকল্প কোনো মুদ্রা ব্যবহারের পক্ষপাতী নয়।
অবশ্য, ভারতের সাবেক রিজার্ভ ব্যাংক গর্ভনর শাকতিকান্ত দাস বলেছিলেন যে, ব্রিকসের একটি যৌথ মুদ্রা তৈরির বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এই প্রেক্ষাপটে, ট্রাম্পের এই বার্তা সম্ভবত মার্কিন ডলারের বৈশ্বিক প্রভাব বজায় রাখার একটি চেষ্টা, এবং ব্রিকস দেশগুলোর অর্থনৈতিক পরিকল্পনাগুলোর ওপর মার্কিন সরকারের কড়া নজরদারির প্রমাণ।
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/1BYoHqiime/
মারিয়া