ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১

১১০ ফিলিস্তিনির বিনিময়ে ৮ জিম্মির মুক্তি

হামাস-ইসরাইল ফের বন্দিবিনিময়

প্রকাশিত: ২১:০৮, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

হামাস-ইসরাইল ফের বন্দিবিনিময়

ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে ফের বন্দিবিনিময় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবেই দুই পক্ষের মধ্যে এই বিনিময় হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ৩০ শিশুসহ ১১০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল। এর বিপরীতে আট জিম্মিকে ছেড়ে দেয় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। জিম্মিদের মধ্যে তিনজন ইসরাইলি নাগরিক বাকি পাঁচজন থাই। এদিকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরে প্রাণঘাতী বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এতে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
চলতি মাসেই গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে এবং এরপর থেকেই অধিকৃত এই ভূখণ্ডটিতে হামলা ও অভিযান আরও জোরদার করেছে ইসরাইল। এদিকে যুদ্ধবিরতির পর গাজায় তাঁবু থেকে নিজেদের ঘরবাড়ির দিকে ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা। এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি উত্তর গাজায় ফিরেছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর গাজায় ইসরাইলের হামলায় ৪৭ হাজার ৪১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ১১ হাজার ৫৭১ জন। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরাইল নেটজারিম করিডোর থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা উত্তর গাজার বাসিন্দাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথ সুগম করবে। এ ছাড়া রাফাহ সীমান্ত পথ খুলে দেওয়া হবে যাতে মানবিক সাহায্য এবং অন্যান্য পণ্য সরবরাহ করা যায়। ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, পশ্চিমতীরে সশস্ত্র যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, পশ্চিমতীরের উত্তরাঞ্চলীয় তুবাস এলাকায় এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরেও সহিংসতা বেড়েছে। এই সহিংসতায় শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন এবং হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এ ছাড়া পশ্চিমতীর ও ইসরাইলে ফিলিস্তিনিদের হামলায় বহু ইসরাইলিও নিহত হয়েছেন। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল পশ্চিমতীর দখল করে নিয়েছিল। তবে গাজার পাশাপাশি পশ্চিমতীরকেও ফিলিস্তিনিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের মূল অংশ হিসেবে দেখে থাকে। গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইল পশ্চিমতীরে অভিযান জোরদার করেছে।

×