ছবি: সংগৃহীত
উত্তর আটলান্টিকের শীতল ভূখণ্ড গ্রিনল্যান্ড নিয়ে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি। খনিজ সম্পদে ভরপুর এই দ্বীপটি কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ডেনমার্ক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনোভাবেই দ্বীপটি বিক্রি করবে না।
এবার যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে কেবল অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বরং সামরিক কৌশলগত দিক থেকে দেখছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে ফ্রান্সও মাঠে নেমেছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুদ রেডিওকে জানিয়েছেন, “যদি ডেনমার্ক চায়, তবে ফ্রান্স গ্রিনল্যান্ডে সেনা মোতায়েন করতে প্রস্তুত। ইউরোপীয় সীমান্ত কেউ লঙ্ঘন করতে পারবে না।”
গ্রিনল্যান্ড কেবল বরফে আচ্ছাদিত একটি দ্বীপ নয়। বরফ গলতে থাকায় এখানে নতুন বাণিজ্যিক পথ তৈরি হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। দ্বীপটির ভৌগোলিক অবস্থানও সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এক জরিপে দেখা গেছে, ৮৫ শতাংশ গ্রিনল্যান্ডের বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে চায় না। তবে মার্কিন প্রতিষ্ঠান প্যাট্রিয়ট পোলিং দাবি করছে, ৫৭ শতাংশ গ্রিনল্যান্ডবাসী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়।
এদিকে ডেনমার্ক জানিয়েছে, দ্বীপটির স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয় ধরে রাখতে আগামী চার বছরে ৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=sDzHmxmb7OA
আশিক