মহাত্মা গান্ধী পাকিস্তানের জনক - অভিজিৎ ভট্টাচার্য

বলিউডের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্য সম্প্রতি ভারতের স্বাধীনতার অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা মহাত্মা গান্ধীকে 'পাকিস্তানের জনক' বলে মন্তব্য করেছেন, যা নিয়ে তিনি ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়েছেন। তার এই মন্তব্যে ভারতের ইতিহাস এবং জাতির অন্যতম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

অভিজিৎ ভট্টাচার্যের এই মন্তব্যের পর, পুণের আইনজীবী অসীম সারোডে প্রথমে আইনি নোটিশ পাঠান, কারণ তিনি মনে করেন, এই ধরনের মন্তব্য ভারতীয় ইতিহাস ও মহাত্মা গান্ধীর প্রতি অবমাননা। অন্যদিকে পুণের এক সমাজকর্মী অভিজিৎ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার দাবি, ভট্টাচার্যের এই মন্তব্য ভারতীয় নাগরিকদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে এবং এটি জনস্বার্থের বিরুদ্ধে।

সমাজকর্মী জানিয়েছেন, 'অভিজিৎ ভট্টাচার্যের বক্তব্যের মাধ্যমে সামাজিক শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে এবং ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি অপমান প্রদর্শিত হচ্ছে। তিনি এই মন্তব্যকে রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন এবং এই কারণে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানিয়েছেন।'

এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিজিৎ ভট্টাচার্যের মন্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, এবং বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতাও তার বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছেন। এখন, পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে এবং দেখা যাচ্ছে যে, এটি বড় ধরনের বিতর্কের কারণ হতে পারে।

এর আগেও কয়েকবার বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। শাহরুখ খান, সালমান খান থেকে রণবীর কাপুর, বলিউডে প্রথম সারির অভিনেতাদেরও ছাড়েননি এ কণ্ঠশিল্পী। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ বলেন, ‘সুরকার আরডি বর্মন মহাত্মা গান্ধীর থেকেও বড় ছিলেন। মহাত্মা গান্ধী যেমন জাতির জনক, তেমনই আরডি বর্মন ছিলেন সংগীত জগতের জনক।’ এরপরই অভিজিৎ এমন বেফাঁস মন্তব্য করেন।

অভিজিৎ বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী পাকিস্তানের জনক ছিলেন ভারতের নয়। ভারতবর্ষের অস্তিত্ব তো ছিলই, পাকিস্তান পরে সৃষ্টি হয়েছে। ভুল করেই ভারতে গান্ধীকে জাতির পিতা বলা হয়। পাকিস্তানের অস্তিত্বের জন্য তিনিই দায়ী।’ অভিজিতের এমন মন্তব্যের কারণে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই আইনজীবী অসীম সারোডে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে গায়কের পক্ষ লিখিত ক্ষমাপত্রের দাবি জানিয়েছিলেন। এবার সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে মনীশ দেশপাণ্ডে নামে এক সমাজকর্মী ডেকান জিমখানা থানায় গিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিজিৎ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অভিযোগ জানিয়ে।