ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১

পুতিনকে গুপ্তহত্যা চেষ্টার বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস!

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

পুতিনকে গুপ্তহত্যা চেষ্টার বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস!

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ভ্লাদিমির পুতিনকে গুপ্তহত্যার চেষ্টা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে ট্রাম্পপন্থী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব টাকার কার্লসন। তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসনের লক্ষ্য ছিলো বৈশ্বিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) তার নিজের পডকাস্ট দ্য টাকার কার্লসন শো'তে ফক্স নিউজের সাবেক এই উপস্থাপক দাবি করেন, জো বাইডেন প্রশাসন পুতিনকে গুপ্তহত্যার নীলনকশা তৈরি করেন।

সত্যিকারের একটি যুদ্ধ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলো। বাইডেনের স্টেট সেক্রেটারি আ্যন্টনি ব্লিঙ্কেন এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে জোর তৎপরতা চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন কার্লসন। পুতিনকে গুপ্তহত্যার পরিকল্পনাকে উন্মাদনা অভিহিত করে কার্লসন বলেন, এ ধরনের পরিকল্পনা যে কেউ মাথায় আনতে পারে ভাবাই যায় না।       
 
মূলত সারা বিশ্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে এবং একই সাথে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার উদ্দেশ্যেই ওই চেষ্টা চালায় বাইডেন প্রশাসন। তবে অতিরিক্ত স্পর্শকাতর এই দাবির স্বপক্ষে কোন তথ্য প্রমান দেননি কার্লসন। তার এমন চাঞ্চল্যকর দাবির পরপরই পক্ষে-বিপক্ষে নানান আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।

ট্রাম্পপন্থী অনেকের মতে বাইডেন প্রশাসন চাইছিলো পুতিনকে গুপ্তহত্যার মধ্য দিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করতে। শেষ খবর পর্যন্ত বাইডেন প্রশাসনের দিক থেকে কার্লসনের এই দাবির ব্যাপারে কোন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। অন্যদিকে পুতিনের মতাদর্শের প্রতি কার্লসনের দুর্বলতা আছে। বরাবরই এমন অভিযোগ মার্কিন ডেমোক্র্যাটদের। ফলে কার্লসনের এ ধরনের দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছে তারা।   

ট্রাম্পপন্থী এই মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা দেয়ারও বিপক্ষে। তারমতে ইউক্রেনে গণতন্ত্র নেই। শুধু তাই নয়, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মস্কো গিয়ে পুতিনের সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য ব্যাপক সমালোচিত কার্লসন। এছাড়া ডিসেম্বরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরোভের সাক্ষাৎকার নেন ট্রাম্পের এই সহযোগী।

এদিকে পুতিনকে গুপ্তহত্যার মার্কিন প্রচেষ্টা প্রসঙ্গে কার্লসনের দাবির পরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, রুশ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে। সবসময় কাজ করে যাচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগগুলো। রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার আওতায় থাকা ব্যক্তিবর্গ, বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের সুরক্ষা নিশ্চিতেও সার্বক্ষণিকভাবে তৎপর তারা।    

 

সূত্রঃ https://youtu.be/rOs8GxTWSOQ?si=xbJ4uT8bflS-eTeU

রিফাত

×