সারা বিশ্বে পাসপোর্ট ব্যবস্থা চালুর শত বছর পেরিয়েছে। কেউ এক দেশ থেকে অন্য দেশে গেলে তাঁর অবশ্যই পাসপোর্ট থাকতে হয়। সে ক্ষেত্রে তিনি রাষ্ট্রপ্রধান হোন বা অন্য কোনও ব্যক্তিত্ব কিংবা সাধারণ মানুষ, প্রত্যেকের জন্যই পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক।
তবে বিশ্বে এমন ৩ জন ব্যক্তি রয়েছেন যাদের এক দেশ থেকে অন্য দেশ ভ্রমণের জন্য পাসপোর্টের প্রয়োজন হয় না।
সেই সৌভাগ্যবা তিনজন হলেন— যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লস, জাপানের সম্রাট নারুহিতো ও সম্রাজ্ঞী মাসাকো। রাজা চার্লস এই বিশেষাধিকার পাওয়ার আগে, এটি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের হাতে ছিল। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রানী মারা যাওয়ার পর চার্লস সিংহাসনে বসেন।
সুতরাং এই ব্যতিক্রম কেবল যুক্তরাজ্যের রাজা বা রানীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ক্ষেত্রে নয়। এই নিয়ম রাজা চার্লসের স্ত্রী রানী ক্যামিলার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য নয়, তাঁর সাথে অবশ্যই একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকতে হবে।
জাপানের ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ১০ মে জাপানি মন্ত্রণালয় একটি নথি জারি করে বলেছিল যে একজন সম্রাট বা সম্রাজ্ঞীর জন্য পাসপোর্ট জারি করা অত্যন্ত অনুপযুক্ত হবে।
একজন সম্রাটের পক্ষে একজন সাধারণ নাগরিকের মতো পাসপোর্ট ব্যবহার করা অত্যন্ত অনুচিত।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে পাসপোর্ট ব্যবহার করে অভিবাসন বা ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্রাটের পক্ষে অত্যন্ত অনুচিত হবে।
এছাড়াও এই অধিকার কেবল সম্রাট এবং সম্রাজ্ঞীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অন্যদিকে কূটনৈতিক পাসপোর্ট রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যার মধ্যে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী এবং রাজকন্যাও অন্তর্ভুক্ত।
যখন তারা যেকোনো দেশে পৌঁছান, তখন জাপানের সম্রাট এবং সম্রাজ্ঞীকে কেবল স্থানীয় মন্ত্রণালয় থেকে একটি নথি দেখাতে হয়। যা তাদের আগমনের আগে দেশটিকে অবহিত করে।
রাজা তৃতীয় চার্লসের ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব তার ব্যক্তিগত সচিব স্যার ক্লাইভ অ্যাল্ডারটনের উপর ন্যস্ত করা হয়েছিল। তাদের বিয়ের এক বছর পর যিনি ২০০৬ সাল থেকে রাজা এবং রানী ক্যামিলার সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং প্রিয় উপদেষ্টাদের একজন ছিলেন।
বিশ্বে ২০০ টিরও বেশি দেশের ৮০০ কোটিরও বেশি মানুষের মধ্যে শুধুমাত্র এই তিনজন ব্যক্তিই পাসপোর্ট ছাড়াই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। তাদের পাসপোর্ট তো কেউ দেখতে চায়ইনা, বরং অতিরিক্ত আতিথেয়তা ও পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হয়।
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি টিভি ১৮।
এসআরএস