ইসরায়েলের হামলার পর আগুন জ্বলছে
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় আহত হয়েছেন ২৪ জন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দক্ষিণ লেবাননের অন্যতম প্রধান শহর নাবাতিহে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৪ জন আহত হয়েছেন বলে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা নাবাতিহের প্রান্তে অস্ত্র পরিবহনকারী হিজবুল্লাহর যানবাহনে হামলা চালিয়েছে।
লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি নাবাতিহের অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, লেবাননের নেতা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিতে ইসরায়েলের ওপর দৃঢ় চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি ড্রোন নাবাতিহে আল-ফাওকার আল-রাওদাত স্কুলের কাছে রাস্তায় একটি পিকআপ ট্রাককে লক্ষ্য করে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। হামলায় গাড়িটি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং রাস্তায় পার্ক করা গাড়ি পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ওই এলাকার মধ্য দিয়ে যাওয়া কয়েকজন নাগরিক আহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রত্যেক দিন ইসরায়েলি সামরিক চৌকি ও ভূখণ্ডে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও তাদের মিত্ররা। ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত এলাকায় এবারের এই সংঘাতে লেবাননে প্রায় চার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১২ লাখ মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর ১৪ মাস ধরে চলা সংঘাতের অবসানে ৬০ দিনের এক যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার এবং হিজবুল্লাহর যোদ্ধা ও অস্ত্রশস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু চুক্তি কার্যকরের মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি সৈন্যদের অবস্থা বলবৎ রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।
এম হাসান