ছবিঃ সংগৃহীত
নিউইয়র্ক সিটিতে অভিবাসন দমন অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির নতুন সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম একটি অভিযানে অংশ নিয়েছেন। সম্প্রতি দায়িত্ব নেওয়া সেক্রেটারি নোয়েম একটি ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম "এক্স"-এ শেয়ার করেন।
অভিযানে একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়, যার বিরুদ্ধে অপহরণ, হামলা এবং চুরির অভিযোগ রয়েছে। তবে অভিযুক্তের পরিচয় বা অভিযানের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই, অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করে তিনি রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসীকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা জানান। ট্রাম্পের দাবি, জো বাইডেনের প্রশাসনের সময় লাখো অভিবাসী দেশে প্রবেশ করায় এসব পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই পদক্ষেপে ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন এরই মধ্যে বাইডেন-যুগের নীতিমালা বাতিল করেছে, যেখানে অপরাধে অভিযুক্ত না হলে অভিবাসীদের গ্রেপ্তার সীমিত রাখা হয়েছিল। একইসঙ্গে স্কুল, হাসপাতাল এবং ধর্মীয় স্থানে অভিযান না চালানোর নীতিমালা বদলে দেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, সব ধরনের অবৈধ প্রবেশ বন্ধ করা হবে এবং লাখো অপরাধী অভিবাসীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত দুই দিনে অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) ২,২০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যা ২০২৪ সালের দৈনিক গড় ৩১১ জনের তুলনায় অনেক বেশি।
নিউইয়র্কের অভিযানে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ইনভেস্টিগেটিভ শাখা এবং ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি (ডিইএ)-র এজেন্টরা অংশ নেন। টুইট করা ছবিতে দেখা যায়, তারা একটি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করছেন।
আইসিই-র অভ্যন্তরীণ সূত্র অনুযায়ী, অভিবাসন দমন অভিযানে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ৩০০ এজেন্টকে যুক্ত করা হয়েছে। তবে অনেক এজেন্ট এই দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল এবং মেয়র এরিক অ্যাডামস এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে তারা আগে বলেছিলেন, আইসিই যেন শুধু বিপজ্জনক এবং অপরাধী অভিবাসীদের গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারে মনোযোগ দেয়।
অভিযানের পর নোয়েম ওয়াশিংটনে ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
রিফাত