ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১

হোয়াইট হাউসে জায়গা হলোনা ইলন মাস্কের

প্রকাশিত: ০০:২২, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

হোয়াইট হাউসে জায়গা হলোনা ইলন মাস্কের

ছবি: সংগৃহীত

হোয়াইট হাউসে জায়গা পেলেন না ইলন মাস্ক। টেসলা তথা স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ককে নবগঠিত ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ বা ডোজের মাথায় বসিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সূত্রের খবর, হোয়াইট হাউসের ভিতরেই তাঁর কার্যালয় স্থাপন করবেন বলে ভেবেছিলেন মাস্ক। কিন্তু, তাঁকে আমেরিকান প্রেসিডেন্টের বাসভবনের অন্দরে অফিসের জায়গা দেওয়া হয়নি।

সূত্রের খবর, হোয়াইট হাউসের বিখ্যাত ওয়েস্ট উইংয়ের ওভাল অফিসের ভিতরে যে অফিস স্পেস রয়েছে, সেই দিকেই নজর ছিল মাস্কের। এর জন্য তিনি নাকি বিভিন্ন জায়গায় তদ্বিরও করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, ইলন মাস্ককে ‘আইজেনহাওয়ার এক্সিকিউটিভ অফিস’ ভবনে কার্যালয় স্থাপনের জায়গা দেওয়া হয়েছে। এতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে মাস্ককে

দ্য টাইমস’ জানিয়েছে, এর পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ, সুসি ওয়াইলস-এর। তিনিই নাকি মাস্ক-কে হোয়াইট হাউসে তাঁর কার্যালয় স্থাপন করতে দেননি। গত ২৫ জানুয়ারি, ট্রাম্পও স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তাঁর ডোজ প্রধান ওয়েস্ট উইং থেকে কাজ করবেন না। একটি পৃথক ভবনে তাঁকে অফিস দেওয়া হবে। মাস্কের অধীনে অন্তত ২০ জন কর্মীর একটি দল কাজ করবে

মাস্ক বলেন, ‘না, না, এটা ইলনের অফিস নয়। আমাদের একটি অফিস আছে। আমি যখন কোনও কার্যনির্বাহী আদেশ দেব, তখন সেই আদেশ তিন মাস ধরে পড়ে থাকবে না। দ্রুত তা কার্যকর করা হবে। এই উদ্দেশ্যে সেই অফিসটি স্থাপন করা হয়েছে। আর সেই অফিসে প্রায় ২০ জন, হয়তো বা আরও বেশি লোক কাজ করবে।’

চলতি সপ্তাহেই এক কার্যনির্বাহী আদেশে সরকারিভাবে ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা ডোজ প্রতিষ্ঠা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, ট্রাম্প এবং মাস্কের একসঙ্গে কাজ করাটা সমস্যার হবে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

হোয়াইট হাউসের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, সুসি ওয়াইলস এখন আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ‘দ্বাররক্ষী’ হিসেবে কাজ করছেন। অর্থাৎ, মাস্কের মতো ব্যক্তিদের থেকে ট্রাম্পকে দূরে রাখার কাজ করছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফ্র্যাঙ্ক লুন্টজ়-এর মতে, ‘এর আগে কখনও কোনও প্রশাসনে এত দ্রুত ক্ষমতার খেলা শুরু হতে দেখা যায়নি।’

এম.কে

সম্পর্কিত বিষয়:

×