ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১

শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

অভিবাসীদের গ্রহণ করবে কলম্বিয়া

প্রকাশিত: ২০:৩৫, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২০:৩৬, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

অভিবাসীদের গ্রহণ করবে কলম্বিয়া

প্রত্যাবর্তনের জন্য সামরিক বিমানে ওঠানো হচ্ছে অভিবাসীদের

পাল্টাপাল্টি হুমকির পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত অভিবাসীদের গ্রহণে সম্মত হয়েছে কলম্বিয়া। এর মধ্য দিয়ে আপাতত দেশ দুটি বাণিজ্য যুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত থেকে সরে এলো। সোমবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কোনো বিধিনিষেধ ছাড়াই কলম্বিয়া নির্বাসিত অভিবাসীদের গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে। তাই ওয়াশিংটন এখন বোগোটার ওপর শুল্ক আরোপ করবে না। খবর রয়টার্সের।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কলম্বিয়া সরকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সব শর্ত মেনে নিয়েছেন। এখন কোনো রকম সীমাবদ্ধতা বা বিলম্ব ছাড়াই মার্কিন সামরিক বিমানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আসা অভিবাসীদের গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, যদি কলম্বিয়া এই চুক্তিকে সম্মান করতে ব্যর্থ হয়, তাই দেশটির ওপর শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা আরোপের খসড়া আদেশে স্বাক্ষর করা না হলেও তা সংরক্ষিত থাকবে। বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, আজকের ঘটনাবলি বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র আবারও মহান। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থানরত তাদের নাগরিকদের নির্বাসন গ্রহণে পূর্ণ সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। এদিকে এক বিবৃতিতে কলম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইস গিলবার্তো মুরিলো বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৈরি হওয়া জটিলতা কাটিয়ে উঠেছি। তিনি বলেন, সোমবার সকালে নির্বাসন ফ্লাইটে দেশে পৌঁছানোর কথা ছিল এমন কলম্বিয়ানদের ফিরিয়ে আনার সুবিধার্থে প্রেসিডেন্সিয়াল বিমান প্রস্তুত রেখেছিল কলম্বিয়া সরকার। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অভিবাসন দমন অভিযানের অংশ হিসেবে অবৈধ অভিবাসী বহনকারী সামরিক বিমান গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য কলম্বিয়ার ওপর শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেন। রবিবার অভিবাসী বহনকারী দুটো বিমানকে অবতরণ করতে দেয়নি কলম্বিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর দাবি, শরণার্থীরা অনেক কষ্টে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। তাদের অপরাধীদের মতো দেশে ফেরত পাঠানো গ্রহণযোগ্য না। কলম্বিয়া সরকারের এমন পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, নির্বাসিত অভিবাসীদের বহনকারী বিমান অবতরণে বাধা দেওয়ার ঘটনা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

×