ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১

জাতিসংঘকে কর দেয়া আমেরিকান জনগণের অর্থের অপচয়: ট্রাম্পের জাতিসংঘ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:২৬, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২০:৪৬, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

জাতিসংঘকে কর দেয়া আমেরিকান জনগণের অর্থের অপচয়: ট্রাম্পের জাতিসংঘ প্রতিনিধি

ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছেন বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জাতিসংঘ এবং ছোট দেশগুলোর প্রতি তার অবজ্ঞা এটি স্পষ্ট করে তুলেছে যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গড়ে ওঠা বৈশ্বিক শৃঙ্খলাকে ব্যর্থ হতে দিতে তিনি মোটেও আপত্তি করবেন না।

ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘে নিযুক্ত হয়েছেন এলিস স্টেফানিক। কট্টর ম্যাগা সমর্থক হিসেবে পরিচিত স্টেফানিক তার শুনানিতে "আমেরিকা ফার্স্ট" নীতির প্রতি অঙ্গীকার করেছে ও জাতিসংঘকে "আমেরিকান করদাতাদের অর্থের অপচয়" বলে অভিহিত করেন। 

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১০টি অস্থায়ী সদস্যের মধ্যে নতুন অন্তর্ভুক্ত ডেনমার্ক এবং পানামা। ২০২৫ সালের মার্চে ডেনমার্ক এবং আগস্টে পানামা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব নেবে। উচ্চমার্গীয় আন্তর্জাতিক আইন রক্ষা ও শান্তি রক্ষার এজেন্ডা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে এই দেশ দুটি। কিন্তু পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই সংকটময় হয়ে উঠেছে।

ডেনমার্ক এবং পানামার কূটনীতিকদের প্রধান উদ্বেগের মধ্যে থাকবে গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণের ট্রাম্পের উচ্চাভিলাষ এবং পানামা খাল ফেরত নেওয়ার তার বক্তব্য। এগুলো আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের প্রতি অশ্রদ্ধার উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় ফিরে এসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে। এগুলো সংস্কারের প্রয়োজন ছিল সত্যি, তবে পুনর্গঠন না করে এগুলোকে অকার্যকর করে তোলা ট্রাম্পের মূল লক্ষ্য বলে মনে হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন এবং মহামারির মতো সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে একক প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। অথচ ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের এজেন্সিগুলোর কার্যক্রমকে উপেক্ষা করে চীনকে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ করে দিচ্ছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অন্য দুই স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়ার মতো আমেরিকাও ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে দায়িত্বহীন হয়ে উঠছে। পুতিনের রাশিয়া যেমন ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করছে, তেমনি শি জিনপিংয়ের চীনও দক্ষিণ চীন সাগরে প্রতিবেশী দেশগুলোকে ভয় দেখিয়ে চলেছে।

 

সূত্রঃ https://www.facebook.com/share/1BGmg5Pfv2/

রিফাত

×