ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১

বাংলাদেশকে যে বড় সুখবর দিল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ২১:১০, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২১:১০, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশকে যে বড় সুখবর দিল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ নন-বাইন্ডিং চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর ৫০ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ করবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর, এলএনজি সরবরাহের বিষয়ে এটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চুক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

এই চুক্তি নতুন মার্কিন প্রশাসনের জ্বালানি বান্ধব নীতির প্রতিফলন, যা বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আর্জেন্ট এলএনজির লুইজিয়ানা প্রদেশে আড়াই কোটি টন এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতা সম্পন্ন একটি অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। পোর্ট ফোরচনে প্রকল্পটি শেষ হলে, চুক্তি অনুযায়ী এলএনজি সরবরাহের সুবিধা পাবেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এই চুক্তি করেছে এবং বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, “এই চুক্তি শুধুমাত্র বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্পের জন্য নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করবে না, এটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারত্বও আরও শক্তিশালী করবে।”

আর্জেন্ট এলএনজির চেয়ারম্যান জোনাথন বাস বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এটি আমাদের জ্বালানি অংশীদারিত্বকে আরও দৃঢ় করবে এবং আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভিত্তি শক্তিশালী হবে।”

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই তার বাড়তে থাকা জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এলএনজি ব্যবহার বৃদ্ধি এবং একটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজছে। তবে ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কারণে বিশ্বব্যাপী এলএনজি দামের ঊর্ধ্বগতি ঘটলে, বাংলাদেশ তখন কয়লাভিত্তিক জ্বালানির দিকে ঝুঁকতে শুরু করে।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প তার নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজি রপ্তানির ক্ষেত্রে ভিসামুক্ত দেশগুলোর ওপর স্থগিতাদেশ তুলে নেন। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এলএনজি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত।

বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ২০২৮ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রপ্তানির সক্ষমতা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।

এটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে, পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও দৃঢ় কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের সূচনা করবে।

নুসরাত

×