ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১

বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্কের ৫৩ বছর, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার নতুন অঙ্গীকার

প্রকাশিত: ১৯:১৩, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্কের ৫৩ বছর, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার নতুন অঙ্গীকার

ছবিঃ সংগৃহীত

মস্কোতে এক অনাড়ম্বর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে বাংলাদেশ-রাশিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫৩ বছর। শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর ঐতিহ্যবাহী ‘গোস্তনি দিভর’ হলে এই জমকালো আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজক ছিল রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশ এবং রাশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করা, বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক বিনিময়, দুই দেশের পাবলিক ডিপ্লোমেসি এবং রাশিয়াকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করার অঙ্গীকারের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাশিয়ার ডেপুটি ফরেন মিনিষ্টার আন্দ্রে ইউরিভিচ রুডেনকো, আন্তর্জাতিক বিষয়ক রাশিয়ান ফেডারেশনের ফেডারেল অ্যাসেম্বলির স্টেট ডুমা কমিটির প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সংসদীয় বন্ধুত্ব গ্রুপের চেয়ারম্যান ঝুরোভা স্বেতলানা সের্গিয়েভনা, রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশের সভাপতি মিয়া সাত্তার, এবং রাশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের মহাসচিব ভ্লাদিমির মিখাইলোভিচ পোলোজকভ। ভিডিও বার্তায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি খোজিন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাশিয়াকে বাংলাদেশের ‘সব মৌসুমের বন্ধু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তাঁরা বলেন, বৈরী পরিস্থিতিতেও রাশিয়া যেমন বাংলাদেশের পাশে থাকে, তেমনি অনুকূল সময়েও। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দিনগুলো থেকে রাশিয়া ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে শুধু সমর্থন দেয়নি, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনেও সহায়তা করেছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌবাহিনী চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের মাইন অপসারণ করে বাংলাদেশের সমুদ্র বাণিজ্য পুনরায় চালু করেছিল। স্বাধীনতার পর প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

রাশিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি উইথ বাংলাদেশের সভাপতি মিয়া সাত্তার বলেন, রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তাঁদের সংগঠন একটি সেতুবন্ধনের ভূমিকা পালন করছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, রাশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সৃষ্টি এবং দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার জন্য তাঁদের সংগঠন নিরলসভাবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে রাশিয়ান পার্লামেন্ট ডুমার আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির প্রথম ডেপুটি চেয়ারম্যান, রুশ পার্লামেন্ট মেম্বার, বাংলাদেশ থেকে সদ্য বিদায়ী রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি, রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মারিয়া

×