পিট হেগসেথ, যিনি সম্প্রতি ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁর বাহিনীকে এক শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন যা শুধু সেনাবাহিনীকেই উদ্বুদ্ধ করে না, বরং পুরো আমেরিকাকে নতুন আশা জাগায়। তিনি বলেছেন, "আমরা আমেরিকার যোদ্ধা। একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা আমাদের দেশ রক্ষা করব।" তাঁর এই দৃঢ় প্রতিশ্রুতি আর সংকল্প, শুধু সেনাবাহিনীকেই নয়, পুরো জাতিকে একসাথে চলতে অনুপ্রাণিত করছে।
শুক্রবার রাতেই পিট হেগসেথ তার প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর,পেন্টাগন এ সেনাবাহিনীর জন্য এই শক্তিশালী এবং অনুপ্রেরণামূলক বার্তা দেন। তিনি বলেন, "আমাদের দেশের যোদ্ধাদের নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান," এবং তার পরই তিনি সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আমেরিকাকে আগে রাখুন, এবং কখনোই পিছিয়ে যাবেন না।"
হেগসেথের মতে, তার প্রধান লক্ষ্য হল "শক্তির মাধ্যমে শান্তি অর্জন" এবং তিনি বলেছিলেন, এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে তিনি তিনটি মূল কাজ করবেন—যোদ্ধাদের সংস্কৃতির পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন, এবং প্রতিরোধ ক্ষমতার পুনঃস্থাপন। তার ভাষায়, "আমরা আমেরিকান যোদ্ধা, আমাদের দেশ রক্ষা করতে হবে। আমাদের মান হবে অত্যন্ত উচ্চ, একনিষ্ঠ এবং স্পষ্ট।"
এছাড়া, হেগসেথ চীন এবং তাদের 'ইন্দো-প্যাসিফিক আক্রমণাত্মক মনোভাব' নিয়ে সতর্কতা প্রকাশ করেন এবং সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, "আমরা আমাদের মিত্রদের পাশে দাঁড়াবো, এবং আমাদের শত্রুরা জানবে যে তাদের জন্য প্রস্তুতি রয়েছে।"
এই সময়ে, হেগসেথ সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আমরা একসঙ্গে, কাঁধে কাঁধ রেখে, এই কঠিন সময়ের মোকাবিলা করবো। আমাদের শত্রুরা বিশ্রাম নেবে না, আর আমরাও নয়।" তার এই বার্তা শুধু দেশরক্ষায় নয়, এটা প্রতিটি সেনার মধ্যে দায়িত্ব ও একতাবদ্ধতা চেতনা জাগিয়ে তোলে।
তিনি আরও বলেন, "আমরা আমাদের শত্রুদের পরাস্ত এবং ধ্বংস করব, যদি প্রয়োজন হয়।" হেগসেথের কথা, যেন এক অনুপ্রেরণার ঝাঁকুনির মতো, যা সেনাবাহিনীর সদস্যদের আরও একত্রিত করে তাদের ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য প্রস্তুত করে তুলবে।হেগসেথের বার্তা এক নতুন যুগের সূচনা, যেখানে প্রত্যেক সেনার মনোভাব, শক্তি এবং দেশপ্রেম একত্রে এক অনবদ্য শক্তি হয়ে উঠবে।
আফরোজা
