প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে শনিবার ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির জন্য নিজের কৃতিত্ব দাবি করেছেন। তবে এই চুক্তিটি তিনি প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই সম্পন্ন হয়েছিল।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আজ বিশ্ব উদযাপন করছে, কারণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চারজন ইসরায়েলি বন্দির মুক্তি নিশ্চিত করেছেন। যাদের দীর্ঘদিন ধরে হামাসের অধীনে আটক রাখা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র তার মহান অংশীদার ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে বাকি বন্দিদের মুক্তি এবং অঞ্চলজুড়ে শান্তি স্থাপনের জন্য।’
মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে কারিনা আরিয়েভ, ড্যানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি এবং লিরি আলবাগ রয়েছেন, যাদের মুক্তি বিনিময়ে ৭০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
চুক্তিটি এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে কার্যকর হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, বন্দিদের চিকিৎসা পরীক্ষা করা হবে এবং তাদের পরিবারদের সঙ্গে পুনর্মিলন করানো হবে।
চুক্তিটি কয়েক মাসের আলোচনার পর সম্পন্ন হয়, যা হামাসের ৭ অক্টোবর, ২০২৩-এ ইসরায়েলের ওপর আক্রমণের প্রায় ১৫ মাস পর যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়।
এই চুক্তি, যা কাতার, যুক্তরাষ্ট্র এবং মিসরের মাধ্যমে মধ্যস্থতা করা হয়েছিল, প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের দ্বারা ৩৩ জন বন্দির মুক্তির কথা উল্লেখ করে।
চুক্তি ঘোষণার পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ট্রাম্প উভয়ই কৃতিত্ব দাবি করেন। বাইডেন বলেছিলেন, চুক্তিটি মে মাসের শেষ দিকে তার পরিকল্পনার ভিত্তিতে সম্পন্ন হয়েছিল।
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘এই মহাকাব্যিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি শুধুমাত্র আমাদের নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিজয়ের কারণে সম্ভব হয়েছে, যা বিশ্বকে ইঙ্গিত দিয়েছিল যে আমার প্রশাসন শান্তি খুঁজবে এবং আমাদের মিত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চুক্তি করবে। আমি আনন্দিত যে আমেরিকান এবং ইসরায়েলি বন্দিরা তাদের পরিবার এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে পুনর্মিলিত হবে।’
এই চুক্তির জন্য ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যের দূত স্টিভ উইটকফ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে কাজ করেন। বাইডেন প্রশাসনও এই চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অ্যাটলান্টিক কাউন্সিলের জোনাথন পানিকফ লিখেছেন এই চুক্তির জন্য ট্রাম্প এবং বাইডেন উভয়ই কৃতিত্বের দাবিদার। ট্রাম্পের হুমকি এবং উইটকফের প্রচেষ্টা এবং বাইডেনের কূটনৈতিক চাপ দুই পক্ষই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। উভয় প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে এই চুক্তি সম্ভব হয়েছে।
সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট।
এম হাসান