ছবি: সংগৃহীত
পররাষ্ট্র নীতিতে ঠিক যেন বাইডেনের উল্টো পথে হাঁটছেন ট্রাম্প। এমনকি শত্রু রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়ার সাথে যোগাযোগ বাড়াতে তৎপর তিনি।
হোয়াইট হাউজে ফিরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বৈঠকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাক্ষাৎ করতে চান কিম-জং উনের সাথেও। উত্তর কোরিয়ার নেতাকে 'স্মার্ট' আখ্যা দিয়েছেন আর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং কে বলেছেন 'বন্ধুসুলভ'।
বিগত দিনগুলোতে ইউক্রেনকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা করেছে বাইডেন প্রশাসন। তবে সংঘাত বন্ধে দৃশ্যমান কোন কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়নি বাইডেন প্রশাসন। জো বাইডেনের আমলে শুধু রাশিয়ার সাথেই না, বরং অন্যান্য দেশের সঙ্গেও বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তিক্ততা। ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন বাইডেনের ঠিক উল্টো পথেই হাঁটছেন। হোয়াইট হাউজে ফিরেই চীন, রাশিয়া, উত্তর কেরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর ইঙ্গিত।
বরাবরই ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্প। ভয়াবহ এই সংঘাত থামাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেনঃ "আমি শীঘ্রই এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ চাই। বাণিজ্য কিংবা অন্য কোনো কারণে নয়। এই যুদ্ধে লাখো তরুণের প্রাণহানি হচ্ছে এবং এর অবসান দরকার।"
এরই মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণের পর শি জিন পিং এর সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ট্রাম্প। শুল্ক আরোপ বিষয়ে উত্তেজনা তৈরী হলে শি জিন পিংয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প।
তিনি আরো বলেনঃ "শি আমাকে কল করেছিলেন। তার সঙ্গে কথোপকথন ছিল বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ। আমার ধারণা আমাদের মধ্যে বেশ চমৎকার একটি সম্পর্ক হতে যাচ্ছে। আমরা শুরুতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই। তিনি আমার বন্ধু না হলেও বন্ধুর মতো"।
বাইডেন আমলে বৈরী সম্পর্ক থাকা কিম জং উনকে 'স্মার্ট' আখ্যা দিয়ে তার সাথে যোগাযোগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। বাইডেনের আমলের পররাষ্ট্র নীতিতে ট্রাম্প যে আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছেন ইতোমধ্যে তার বক্তব্যে পাওয়া যাচ্ছে সেই আভাস।
আসিফ