তাইওয়ান নিয়ে বহুদিন ধরে কাড়াকাড়ি চলছে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে। এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির ঘাড়ে ভর করে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় আমেরিকা।
তবে এক্ষেত্রে আমেরিকার বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে এই অঞ্চলের ক্ষমতাধর রাষ্ট্র চীন।বহুদিন ধরে বিভিন্ন কারণে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের দা-কুমড়া সম্পর্ক। এরই মাঝে সম্পর্কের তিক্ততা বেড়েছে বহুগুণ, আর সেটা তাইওয়ানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে।
ওয়াশিংটন এবং বেইজিং এর নজর যখন তাইওয়ানের দিকে,তখন আমেরিকার দিকেই ঝুঁকেছে তাইপে।বাড়িয়ে দিয়েছে বন্ধুর হাত।চীনকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে তাই অনেক মার্কিন আশ্রয়ের বিষয়টি ভালো ঠেকছে না বেইজিং এর কাছে।
এজন্য চীন মেতেছে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে। ধ্বংস করে দিতে চায় ওয়াশিংটন-তাইপে সম্পর্ক। চীন তাইপেকে বুঝাতে চায় একমাত্র বন্ধু হচ্ছে চীন এবং এখানে একমাত্র প্রভাব খাটানোর অধিকার আছে চীনের। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এবার তাইওয়ানের সমুদ্রের নিচে তার কেটে দিয়েছে চীন। এই ওয়ানের পুরো টেলি কমিউনিকেশন ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দেওয়ার উদ্দেশ্যই চীনের। সমুদ্রের নিচে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল কেটে টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়ার উদ্দেশ্য বা পরিকল্পণা চীনের।
বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পুরো তাইওয়ান অঞ্চলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতামত, পরিস্থিতি যে কোন মুহূর্তে সংঘাতে রূপ নিতে পারে।
ফাইবার অপটিক্যাল কাটার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে তাইওয়ানের। পর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে তাইওয়ানের উপকূল প্রতিরক্ষা বাহিনী। তদন্ত বাহিনীর দাবি, হ্যালো অভিযুক্ত একটা চেনা জাহাজে মোট সাতজন ক্রু ছিল। জাহাজটির মালিক হংকংবাসী এক ব্যক্তি। কিলুং বন্দরে আসার আগে জাহাজটি আফ্রিকার ক্যামেরুন এবং তানজানিয়ায় নোঙ্গর করেছিল।
এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে, অভিযুক্ত জাহাজের পরিচালক সংস্থা। কথাটির বলেছে বন্দরে নূর করা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এর সাথে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল কাটার কোন সম্পর্ক নেই।
তাইওয়ান কোনোভাবেই চীনের কর্তৃত্ব মেনে নিতে চায় না।তাই যুক্তরাষ্ট্রের শরণাপন্ন হচ্ছে তাইপে। যুক্তরাষ্ট্র সে সুযোগ লুফে নিচ্ছে। এখন দেখার বিষয় তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চীন সম্পর্ক কোনদিকে মোড় নেয়।
সূত্র:https://tinyurl.com/3nzzvfdw
আফরোজা