ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিশ্বের সর্ববৃহৎ দাতা যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল ও মিশরের জন্য জরুরি খাদ্য ও সামরিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। তবে সদ্য শপথ নেওয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বৈদেশিক সাহায্য স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে, যেখানে ইউক্রেনকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, বলে এএফপি একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর একটি অভ্যন্তরীণ স্মারকলিপি অনুযায়ী, নতুন প্রকল্পের জন্য তহবিল বরাদ্দ বা বিদ্যমান প্রকল্পের সম্প্রসারণ অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। এই সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের "আমেরিকা ফার্স্ট" নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যা বিদেশি সাহায্যের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রতিশ্রুতি দেয়।
পেপফার কর্মসূচি ও সামরিক সহায়তার প্রভাব
এই নির্দেশনার কারণে উন্নয়ন থেকে শুরু করে সামরিক সহায়তা পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে পেপফার (PEPFAR) কর্মসূচি, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এইচআইভি/এইডস রোগীদের চিকিৎসায় সহায়তা করে। ২০০৩ সালে চালু হওয়া এই কর্মসূচি ২৬ মিলিয়নেরও বেশি জীবন বাঁচিয়েছে।
ইসরায়েল ও মিশরের বিশেষ সুবিধা
স্মারকলিপিতে ইসরায়েলের সামরিক সহায়তা এবং মিশরের প্রতিরক্ষা তহবিলকে এই স্থগিতাদেশের বাইরে রাখা হয়েছে। গাজার যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলের অস্ত্র সহায়তা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি, মিশর ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য সামরিক সহায়তা পেয়ে আসছে।
জরুরি খাদ্য সহায়তাকেও এই নির্দেশনার বাইরে রাখা হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সুদান ও সিরিয়ার মতো সংকটাপন্ন অঞ্চলে প্রদান করা হয়।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও পর্যালোচনা
৮৫ দিনের মধ্যে বৈদেশিক সাহায্যের একটি বিস্তৃত পর্যালোচনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, বর্তমান সহায়তার কার্যকারিতা এবং নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য নির্ধারণ করা নতুন প্রশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ।
২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র $৬৪ বিলিয়নেরও বেশি বৈদেশিক সাহায্য প্রদান করেছে, যা বৈশ্বিক ডলারের হিসাবে সর্বোচ্চ। তবে ২০২৪ সালের তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
সূত্র: এএফপির
ইসরাত