ছবি: সংগৃহীত
ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে নাজমা (২৮) নামে এক বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে স্থানীয় কালকেরে লেকের পাশ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নিহতের কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট বা অন্য কিছু পাওয়া না গেলেও তার স্বামীর কাছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে এবং তারা ছয় বছর ধরে ব্যাঙ্গালুরু শহরে বসবাস করছিলেন। এই দম্পতির ঘরে তিন সন্তানও আছে, যারা বাংলাদেশে নিজ আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে থাকে।
স্থানীয় পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে রামমূর্তি নগরের কলকেরে লেকের ধারে নাজমার মরদেহ পাওয়া যায়। তার স্বামীর দেওয়া তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে, নাজমার কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। নাজমার ভাইও তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনিও এই শহরে থাকেন। তবে নাজমার কোনো কাগজপত্র না থাকলেও তার স্বামী সুমন বৈধভাবে গত ছয় বছর ধরে ভারতে বসবাস করে আসছেন। তার কাছে বাংলাদেশি পাসপোর্টও আছে। তিনি সেখানে সিটি কর্পোরেশনের ময়লা পরিশোধনের কাজ করেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাজমা কালকেরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন। তারা থাকতেন রামকৃষ্ণ নামক একটি এলাকায়। সেখান থেকে তার কর্মস্থলটি কাছেই ছিল। গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ওই অ্যাপার্টমেন্টে কাজ শেষে বের হওয়ার পরই তিনি নিখোঁজ হন। এরপর গতকাল শুক্রবার সকালে পথচারীদের কাছ থেকে জরুরি বার্তা পায় পুলিশ।
পরে লেকের ধারে উপস্থিত হয়ে পুলিশ দেখতে পায় নাজমার মরদেহটি উদ্ধার করে। তার মাথা ও মুখে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া তাকে শ্বাসরোধে হত্যার আলামতও স্পষ্ট ছিল।
শহীদ