ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আমেরিকা সফরের সময় তিনি ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস থেকে ভারতের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ে নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি জানান, দিল্লি কখনোই অবৈধ অভিবাসনকে সমর্থন করে না। শুক্রবার এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও একই বার্তা দেন।
জয়সওয়াল বলেন, "ভারত সবসময় অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে। কারণ এর সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সংগঠিত অপরাধ জড়িত থাকে। শুধু আমেরিকাই নয়, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যদি কোনো ভারতীয় অবৈধভাবে বসবাস করেন, আমরা তাঁদের ফিরিয়ে নেব। তবে এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র ভাগ করে নিতে হবে, যাতে যাচাই করা যায় তিনি সত্যিই ভারতীয় কি না। যাচাই শেষে আমরা তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।"
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই তাঁর প্রশাসন অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ধরপাকড় চালিয়ে ইতিমধ্যে ৫৩৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিট নিশ্চিত করেছেন। ‘ব্লুমবার্গ’-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আমেরিকায় প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী চিহ্নিত হয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে ভারতের তরফে সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি, তবে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে ভারত ও আমেরিকা যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
এস জয়শঙ্কর ওয়াশিংটন থেকে আরও জানান, দিল্লি অবৈধ অভিবাসন এবং যাতায়াতের তীব্র বিরোধিতা করে। কারণ, এ ধরনের ঘটনা দেশের সুনামের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে কোনো অভিবাসীকে ফেরানোর আগে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়া জরুরি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সূত্রঃ অনন্দবাজার
রাজু