ছবি সংগৃহীত
ভারতের অর্থনীতি সংকটের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। রেকর্ড দরপতন হয়েছে ভারতীয় রূপির, যা দেশটির সামগ্রিক অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের এই অর্থনৈতিক সংকটের অন্যতম কারণ প্রতিবেশী বাংলাদেশে সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি।
বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্কের ঘাটতির কারণে ভারতের অর্থনীতিতে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে পর্যটকদের ভারত ভ্রমণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশটির পর্যটন শিল্প বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে।
ভারতের পর্যটন খাতে প্রতিবছর প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার আয় হয়, যার মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলার আসে বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে। বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা ভারতের মোট বিদেশি পর্যটকের ২২ শতাংশ। এছাড়া, ভিসা ফি থেকে ভারত প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আয় করত।
বাংলাদেশি পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ হওয়ায় ভারতের হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহনসহ পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলোতে ধস নেমেছে। শুধু তাই নয়, সীমান্ত এলাকায় ছোট-বড় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
ভারতের অর্থনৈতিক সংকটের এই প্রভাব দেশটির রাজনীতিতেও চাপ সৃষ্টি করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর এর প্রভাব স্পষ্ট। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এ বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। মিডিয়ায় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে বেসামাল কথাবার্তা বলার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সুসম্পর্ক বজায় না রাখার খেসারত দিতে হচ্ছে ভারতকে। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও পর্যটন খাতে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন না করলে ভারতের অর্থনীতির ওপর দীর্ঘমেয়াদে আরও বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
আশিক