ছবি সংগৃহীত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণের পর পানামা খাল পুনর্দখল করার বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পর এই বিষয়ে তার বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পানামার প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি, বিষয়টি জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে উপস্থাপন করেছেন। পানামা খালকে কেন্দ্র করে এ ধরনের হুমকি শুধু আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনই নয়, বরং এটি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
পানামা খাল দখল নিয়ে ট্রাম্পের এই বক্তব্যে সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সামরিক শক্তি দিয়ে খাল দখলের চেষ্টা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নীতির পরিপন্থী। এই ধরনের পদক্ষেপ ট্রাম্পের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি ট্রাম্প পানামা খাল দখলে যুদ্ধ শুরু করেন, তবে তা আন্তর্জাতিক পরিসরে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। একই সঙ্গে, অভ্যন্তরীণভাবে তিনি জনসমর্থন হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
ট্রাম্পের বক্তব্যের পর কূটনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বাড়ছে। অনেকেই মনে করছেন, পানামা খাল নিয়ে এমন মনোভাব যুক্তরাষ্ট্রের নীতির ধারাবাহিকতাকে চ্যালেঞ্জ করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জটিল করে তুলবে।
বিশ্বজুড়ে পানামা খাল গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও ভূরাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে পরিচিত। এই খালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নতুন কোনো উত্তেজনা সৃষ্টির ঘটনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপরও বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=5KL770Xmmwg