দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পরই বিশ্ব রাজনীতিতে শুরু হয়ে গেছে নতুন সমীকরণ। রাশিয়া চীন ইরানের মধ্যে বৈঠকের পরই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পাল্টা বৈঠকে বসেছে ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে হওয়া রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকের নেতৃত্ব দেয় নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বৈঠকে ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইওয়া তাকেশি।
বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রসহ চার দেশের এই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে ওই বৈঠক। বৈঠকের পর চীনের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাইরের যে কোনো শক্তি মোকাবিলায় দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে। পুতিনের এই বৈঠকের আগে মস্কোর সঙ্গে একটি সামরিক চুক্তি করে তেহরান।
এদিকে, চীন রাশিয়ার বৈঠক ও মস্কোর সঙ্গে তেহরানের সামরিক চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার বৈঠক ঘিরে বিশ্ব রাজনীতিতে শুরু হয়েছে ব্যাপক তোলপাড়। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, চীন রাশিয়াকে মোকাবিলা করতে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রধান অগ্রাধিকারের অংশ হিসেবে এই বৈঠক। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া কৌশলগত জোট কোয়াডের সদস্য।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পরই দেশগুলো একটি যৌথ বিবৃতি দেয়। এতে বলা হয়, একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল জোরদার করার লক্ষ্যে চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। অবাধ ও মুক্ত অঞ্চলে আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা সমুন্নত ও সুরক্ষিত থাকবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বলপ্রয়োগ বা নিপীড়নের মাধ্যমে স্থিতাবস্থা বদলে ফেলার চেষ্টার যে কোনও একতরফা পদক্ষেপের জোরালো প্রতিবাদ জানানো হবে।
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স বলছে, মঙ্গলবারের এই বৈঠকের পর হোয়াইট হাউজে আবারও মিলিত হতে পারেন চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ফুয়াদ