ছবিঃ সংগৃহীত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য একের পর এক সংকট যেন শেষ হচ্ছে না। অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই তিনি নানা সমস্যার মুখোমুখি। সম্প্রতি মাওবাদী বিদ্রোহ থেকে শুরু করে মনিপুরের সহিংসতা এবং লাদাখ অঞ্চলে চীনের সামরিক মহড়া মোদীর জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লাদাখে চীনের মহড়া ও সীমান্ত উত্তেজনা
লাদাখ সীমান্তে চীন বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালিয়েছে। শুধু লাদাখ নয়, অরুণাচল প্রদেশ এবং সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলেও সক্রিয় চীনের তৎপরতা। এই কার্যকলাপ নয়াদিল্লির কূটনৈতিক এবং সামরিক অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলছে।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে চীনের চুক্তি
অন্যদিকে, অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা চীনের সঙ্গে ৩.৭ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির আওতায় চীন শ্রীলঙ্কার দক্ষিণাঞ্চলের বন্দরশহর হাম্বানটোটায় একটি তেল শোধনাগার তৈরি করবে। হাম্বানটোটা বন্দর দীর্ঘদিন ধরে চীনের প্রভাবের কেন্দ্রস্থল, যা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ সর্বদা তুঙ্গে।
শ্রীলঙ্কার নতুন সরকার মোদীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, তাদের মাটিতে ভারত-বিরোধী কার্যক্রম ঘটতে দেওয়া হবে না। কিন্তু এই চুক্তি মোদীর জন্য নতুন সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। চীনের এ প্রকল্প শুধু অর্থনৈতিক প্রভাব নয়, কৌশলগত ক্ষেত্রেও ভারতের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অভ্যন্তরীণ সমস্যা
ভারতের অভ্যন্তরে মাওবাদী বিদ্রোহ এবং মনিপুরে চলমান সংঘর্ষও মোদীর প্রশাসনকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারতের সামনে এখন একাধিক কৌশলগত ও অভ্যন্তরীণ সংকট। এই পরিস্থিতিতে কিভাবে ভারসাম্য রক্ষা করবেন তিনি, তা এখন দেখার বিষয়।
মারিয়া